বুয়েটে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে গণশপথ নিলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

বুয়েটে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে গণশপথ নিলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
বুয়েটে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে গণশপথ নিলেন বুয়েটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

বুয়েট ভিসি অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম, সকল আবাসিক হলের প্রভোস্ট, বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধানরা শপথ গ্রহণ করেছেন।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে সকল প্রকার সন্ত্রাস রুখে দেওয়ার দাবিতে গণশপথ নিয়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

আজ বুধবার দুপুরে বুয়েট মিলনায়তনে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও অংশ নেন বুয়েটের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার পর থেকেই তার বিচারসহ ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। গত ৭ অক্টোবর থেকে চলা এ আন্দোলন আজকের গণশপথের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটলো। তবে মাঠের আন্দোলনের ইতি ঘটলেও প্রশাসনের দেওয়া আশ্বাস এবং প্রতিশ্রুতি পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

জানা গেছে, সকাল ১১টা থেকে গণশপথের জন্য বুয়েট ক্যাফেটেরিয়ার সামনে জমায়েত হন শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১২টায় গণশপথ হওয়ার কথা থাকলেও নির্দিষ্ট সময়ের কিছু পরে অনুষ্ঠান শুরু হয়ে দুপুর দেড়টার দিকে শেষ হয়।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, আসামিদের চার্জশিট হওয়ার পর অভিযুক্তদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার না করা পর্যন্ত কোনো অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নেবেন না তারা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আরিফ ইবনে আলী বলেন, ‘গণশপথের মধ্য দিয়ে আন্দোলন শেষ হবে। আমাদের প্রস্তুতি শেষ। কিছুক্ষণের মধ্যে শপথ শুরু হবে। আমাদের মাঠের আন্দোলন শেষ হলেও দাবিগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে পর্যোবেক্ষণ চলবে।’

প্রসঙ্গত, গত ৬ অক্টোবর রাত তিনটার দিকে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী।

এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পর দিন চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন আবরারের বাবা। এ মামলার এজাহারভুক্ত ১৯ আসামিসহ এ পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এদিকে আবরার হত্যার পর থেকেই ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের মুখে ইতিমধ্যে দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বুয়েট প্রশাসন। এসব দাবি বাস্তবায়নের বিষয়ে নোটিশও প্রদান করা হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটেই শিক্ষার্থীরা মাঠের আন্দোলনে ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।