কাল বসছে সংসদ অধিবেশন , থাকবে না সাংবাদিক-দর্শনার্থী

কাল বসছে সংসদ অধিবেশন , থাকবে না সাংবাদিক-দর্শনার্থী

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।। 

খুব স্বল্প সময়ের জন্য আগামীকাল জাতীয় সংসদে বসতে যাচ্ছে অধিবেশন। তবে । সাংবিধানিক বাধ্য-বাধকতার কারণে ডাকা এই অধিবেশন শুরু হবে শনিবার বিকেল ৫টায়। চলতে পারে এক থেকে দেড় ঘণ্টা। উপস্থিত থাকবে কোনো সাংবাদিক ও দর্শনার্থী। সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিও সীমিত করা হবে। ইতিহাসের সবচেয়ে স্বল্পকালীন অধিবেশন হতে যাচ্ছে এটি।

জাতীয় সংসদের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে এ সকল তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

এদিকে, জাতীয় সংসদের পক্ষ থেকে অধিবেশনে সশরীরে উপস্থিত না হয়ে সংসদ টেলিভিশন থেকে সংবাদ সংগ্রহের জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। সংসদ সচিবালয়ের পরিচালক (গণসংযোগ) তারিক মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সবার জীবনের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে সংসদ অধিবেশন অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত করা হবে। এ প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকদের সরাসরি সংসদে না এসে স্ব-স্ব স্থানে অবস্থান করে সংসদ টেলিভিশন থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত অধিবেশন কাভার করার জন্য বিনীত অনুরোধ করা হচ্ছে।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, এই অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকছে না। কোনো বিল উত্থাপন ও পাসের সম্ভাবনা নেই। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে সংসদ অধিবেশন পরিচালনার জন্য সভাপতিমণ্ডলী মনোনয়নের পর চলতি সংসদের সদস্য ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফসহ অন্যান্যদের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। শোক প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শেষে অধিবেশন মূলতবি করা হবে। এরপর জনগুরুত্বপূর্ণ নোটিশ নিয়ে আলোচনা শেষে অধিবেশন সমাপ্ত হবে। এরআগে দিনের কার্যসূচীতে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন কর্তৃক সরকারী কর্ম কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন উত্থাপনের কর্মসূচী রয়েছে।

সাংবিধানিক বাধ্য-বাধকতার কারণে করোনা ভাইরাসের এই দুর্যোগেও সংসদের সপ্তম অধিবেশন আহ্বান করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। এক অধিবেশন শেষ হওয়ার পর ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে আবার বসার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সর্বশেষ ষষ্ঠ অধিবেশন শেষ হয়েছিল গত ১৮ ফেব্রুয়ারি। সেই হিসেবে ১৮ এপ্রিলের মধ্যে সংসদের অধিবেশন আহ্বানের বিধান রয়েছে। আর সংবিধান রক্ষায় আগামী ১৮ এপ্রিল শনিবার বিকাল ৫টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হবে। যা মাগরিবের নামাজের বিরতির আগেই শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনার ভয়াল থাবার কারণে একাদশ সংসদের সপ্তম অধিবেশন দেশের ইতিহাসে একেবারেই ব্যতিক্রম হবে। এই প্রথম ছুটির দিনে আহ্বান করা এই অধিবেশনে ৬০ থেকে ৭০ জনের উপস্থিতি নিশ্চিত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী সংসদের বৈঠকের কোরাম পূরণ করতে সর্বনিম্ন ৬০ জনের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। আর সংসদের অধিবেশন কক্ষে সংসদ সদস্যসহ অন্যান্যদের শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য অধিবেশন চালানোর জন্য হাতেগোনা কয়জন কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত থাকবেন।