চট্টগ্রামে বিনোদনের আরেক স্পট 'রেলওয়ের বন্ধ জাদুঘর' 

চট্টগ্রামে বিনোদনের আরেক স্পট 'রেলওয়ের বন্ধ জাদুঘর' 
চট্টগ্রামে বিনোদনের আরেক স্পট 'রেলওয়ের বন্ধ জাদুঘর' 

মরিয়ম জাহান মুন্নী ।।

বাংলাদেশ রেলওয়ের একমাত্র জাদুঘর এলাকাটি এখন বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। গত পাঁচ বছর আগেও এই ভবনে ছিল দর্শনার্থীদের ভিড়। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা আসতো শিক্ষা সফরে। কারণ এটিই দেশের একমাত্র রেলওয়ে জাদুঘর। কিন্তু দীর্ঘদিন দরে এটি অবহেলা-অযত্নে পড়ে আছে।

উঁচু টিলার উপর অবস্থিত ১৫০ বছরের পুরোনো কাঠের তৈরি এ জাদুঘরে ঝুলছে তালা। তবে জাদুঘরের দরজায় তালা ঝুললেও বাহিরের মনোরম দৃশ্য নজর কাড়ে দর্শনার্থীদের। প্রতিদিন এখানে নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর ও তরুণ-তরুণীদের আড্ডা জমে। বন্ধের দিনে দূর থেকে ঘুরতে আসেন দর্শনার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, কেরিজ এন্ড ওয়াগন কারখানার উল্টো দিকে পাহাড়ের উপরে অবস্থিত বাংলাদেশ রেলওয়ে জাদুঘর। তবে বন্ধ রয়েছে পুরোনো এ জাদুঘরটি। জাদুঘরের চারপাশে সবুজের সমাহার। নারকেল, কড়ই, মেহগনি, কৃষ্ণচূড়া ও অনেক পুরোনো গাছ দাঁড়িয়ে আছে স্ব-গৌরবে। বেলা প্রায় ডুবার পথে। পাতার ফাঁকে ফাঁকে গায়ে এসে পড়ছে বিকেলের রোদ। জাদুঘরের প্রধান ফটক থেকে নিচের দিকে দৃষ্টিনন্দন সিঁড়ি। আবার চারপাশেও বসার জন্য করা হয়েছে পাকা স্থান। যেগুলোতে বসে আড্ডা দিচ্ছে প্রায় সব বয়সী মানুষ। মধ্যম বয়সী কিছু নারী-পুরুষকে দেখা যায় দল বেধে হাঁটতে। দেখেই বুঝা যায় শরীরচর্চা করছের তারা। কিছু শিশুকে বাবার সাথে বসে আড্ডা দিতেও দেখা যায়।

নগরের পাহাড়তলীতে প্রায় ১২ একর জমির উপর গড়ে তোলা হয়েছে বাংলাদেশের একমাত্র রেলওয়ে জাদুঘরটি। চট্টগ্রাম রেলওয়ে জাদুঘর সমগ্র বাংলাদেশ রেলের প্রায় দেড়শ বছরের ইতিহাস, কৃষ্টির ধারক ও বাহক। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এই জাদুঘরটি হয়ে উঠতে পারে ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই জাদুঘরের সংরক্ষণ শুধু যে রেলকে সমৃদ্ধ করবে তা-ই নয় প্রকৃতপক্ষে এটি চট্টগ্রামের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

কথা হয় আফসানা ও সাফিরা নামের দুই বান্ধবীর সাথে। তারা বলেন, অনেক দিন পরে ঘরের বাইরে এসেছি । করোনার কারণে অনেক দিন বান্ধবীর সাথেও দেখা হয় না। তাই এখানের জায়গাটিও সুন্দর দেখেই দুইজনে ঘুরতে এসেছি।