চট্টগ্রামের লালদিঘীতে আওয়ামী লীগের জনসভায় ২৪ জনকে হত্যা মামলায় ৫ জনের ফাঁসি

চট্টগ্রামের লালদিঘীতে আওয়ামী লীগের জনসভায় ২৪ জনকে হত্যা মামলায় ৫ জনের ফাঁসি

আদালত ডেস্ক।।

চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে তিন দশক আগে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার জনসভা শুরুর আগে গুলি চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যা করার মামলার পাঁচজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকাল ৩টার দিকে চট্টগ্রামের বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল হোসেন আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক মাহমুদ।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো- কোতোয়ালী থানার তৎকালীন পেট্রল ইন্সপেক্টর গোবিন্দ চন্দ্র মণ্ডল (মামলার বিচার শুরুর পর থেকেই পলাতক), সাবেক পুলিশ কনস্টেবল মোস্তাফিজুর রহমান, প্রদীপ বড়ুয়া, মো. আব্দুলাহ এবং মমতাজ উদ্দিন।

এই মামলার অপর ৪ আসামির মধ্যে প্রধান আসামি চট্টগ্রামের তৎকালীন পুলিশ কমিশনার মীর্জা রকিবুল হুদা, কনস্টেবল বশির উদ্দিন ও আব্দুস সালাম মৃত্যুবরণ করেছেন। ইন্সপেক্টর গোপাল চন্দ্র (জেসি) মণ্ডল ঘটনার পর থেকে নিরুদ্দেশ। তিনি ছিলেন কোতোয়ালি অঞ্চলের পেট্রল ইন্সপেক্টর।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি নগরীর লালদীঘি ময়দানে সমাবেশে যাওয়ার পথে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলি চালালে ২৪ জন মারা যান। আহত হন দুই শতাধিক মানুষ।

নিহতদের কারও মরদেহ পরিবারকে নিতে দেয়নি স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সরকার; সবাইকে বলুয়ার দীঘি শ্মশানে পুড়িয়ে ফেলা হয়।

এরশাদের পতনের পর ১৯৯২ সালের ৫ মার্চ আইনজীবী মো. শহীদুল হুদা বাদী হয়ে এই ঘটনায় মামলা দায়ের করলেও বিএনপি সরকারের সময়ে মামলার কার্যক্রম এগোয়নি। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মামলাটি পুনরুজ্জীবিত হয়। দুই দফা তদন্ত শেষে ১৯৯৮ সালের ৩ নভেম্বর আট পুলিশ সদস্যকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি।