চসিক নির্বাচনে বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী জসিমের বাসায় অবরুদ্ধ এমপি দিদার

দিদারের গাড়ির সামন শুয়ে গেল কাউন্সিলর সমর্থকরা

চসিক নির্বাচনে বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী জসিমের বাসায় অবরুদ্ধ এমপি দিদার
চসিক নির্বাচনে বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী জসিমের বাসায় অবরুদ্ধ এমপি দিদার

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

সীতাকুণ্ডের সাংসদ দিদারুল আলম চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী জহুরুল আলম জসিমের বাসায় এসে অবরুদ্ধ হয়েছেন ।

জানা গেছে, ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী জসিমের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের বিষয়ে কথা বলতেই সেখানে গিয়েছিলেন সাংসদ দিদারুল আলম।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১১ টার দিকে জসিমের বিশ্বকলোনীস্থ বাসায় আসেন দিদারুল আলম। জসিমের সাথে আলাপ শেষে বের হয়ে আসার পথে সেখানে আগে থেকে জমায়েত হওয়া কয়েকশ নেতাকর্মী তাকে ঘিরে ধরে।

এসময় সাংসদ দিদারের কাছে তারা কাউন্সিলর পদে নির্বাচন ওপেন করে দেয়ার দাবি জানায়। যেকোন মূল্যে জসিমকে নির্বাচন করতে দেয়ার দাবিও জানায় তারা। এসময় তাদের অনেকে দিদারের গাড়ির সামনেও শুয়ে যায়। তাকে ঘিরে শ্লোগানও দেন তারা।

এসময় জসিমের বাসার সামনের রাস্তায় ২০ মিনিট অবরুদ্ধ ছিলেন দিদার। পরে আকবর শাহ থানা পুলিশ এসে দিদারকে সেখান থেকে বের করে নিয়ে যান।

যাওয়ার সময় স্থানীয়দের দাবির বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন সহ ঊর্দ্ধতন নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়ে যান সাংসর দিদার।

এ বিষয়ে আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তেমন কোন ঘটনা হয়নি। এমপি সাহেব মনোনয়ন প্রত্যাহারে কাউন্সিলর জসিমের বাসায় বুঝাতে গিয়েছিলেন।

সাংসদের গাড়ির আটকানোর বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আবেগ সামলাতে না পেরেই কাউন্সিলরের সমর্থকরা রাস্তায় কিচ্ছুক্ষণের জন্য শুয়ে পড়ে। এ সময় তারা বিক্ষোভ করে জসিমের পক্ষে শ্লোগান দেন। পরে এটি ঠিক হয়ে গেছে।

এর আগে গতকাল (শনিবার) রাতে সাংসদ দিদার কাউন্সিলর জসিমকে তার বাসায় ডেকে নিয়ে চসিক নির্বাচন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়। সেখান থেকে ফিরে রাতেই প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন জসিম। এরই প্রেক্ষিতে সকাল থেকে জসিমের বাসার সামনে জমায়েত হতে থাকে স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

তাদের দাবির মুখেই সেখানে গিয়েছিলেন দিদার এমনটাই জানা গেছে এক প্রত্যক্ষদর্শীর কাছ থেকে।