ছাত্র রাজনীতি বুয়েট চাইলে বন্ধ করতে পারে - প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

ছাত্র রাজনীতি বুয়েট চাইলে বন্ধ করতে পারে - প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) কর্তৃপক্ষ চাইলে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে পারে। সারাদেশের ছাত্র রাজনীতিকে দোষারোপের মানে নেই। তবে ছাত্র রাজনীতি দরকার আছে।

বুধবার (৯ অক্টোবর) গণভবনে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন ।

বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন চলছে- এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ আছে। বুয়েট চাইলে তারাও নিষিদ্ধ করতে পারে। আমরা এতে হস্তক্ষেপ করবো না।

শেখ হাসিনা বলেন, ছাত্ররাই সব আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকায় থাকে। আমিও ছাত্ররাজনীতি করেই এখানে এসেছি। এখন একটা ঘটনা ঘটেছে বলেই ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে কেন? তবে কোনো প্রতিষ্ঠান চাইলে নিজেরা সেটি করতে পারে।

১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমান ছাত্র সংগঠনগুলোকে রাজনৈতিক দলের আওতায় এনেছিলেন। এখন ছাত্ররাজনীতিকে আবারো আগের মতো স্বাধীন সংগঠন ঘোষণা করা হবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের তালিকা আছে, যা অন্য দলগুলোর নেই। ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন নয়।

তিনি বলেন, মাথা থাকলে মাথাব্যথা তো হবেই। যারা উড়ে এসে বসে, তাদের দেশের চিন্তা থাকে না। ছাত্ররাজনীতি থেকেই ধীরে ধীরে চরিত্র গঠন হয়। আদর্শ গড়ে ওঠে। দক্ষ নেতৃত্ব উঠে এসেছে ছাত্ররাজনীতি থেকেই।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের হত্যার খবর জানার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে আলামত সংগ্রহের নির্দেশ দেই। যখন পুলিশ আলামত সংগ্রহ করে নিয়ে আসবে তাদের আটকে দেয়া হলো। তিন ঘণ্টা আটকে রাখা হলো, কেন? সেটা জানা দরকার। অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল কিনা। পরে আইজিপি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে।

‘আমি তো সঙ্গে সঙ্গে আইজিপিকে নির্দেশ দিয়েছি কোন রুমে কারা ছিল সবগুলোকে ধরে অ্যারেস্ট করো। যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটাবে আমি মেনে নেবো না। ছাত্রলীগকে সঙ্গে সঙ্গে ডেকেছি, নির্দেশ দিয়েছি ব্যবস্থা নেয়ার।’

শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা দেখেছেন পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট, বাইরে কোনো আলামত নাই। ভেতরে অনেক ইনজুরি। এরা কারা? ২০০১ সালে দেখেছি এভাবে আমাদের নেতাকর্মীদের মারধর করতো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে। কীসের ছাত্রলীগ, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। কারো দাবির অপেক্ষায় তো আমি বসে থাকিনি। সঙ্গে সঙ্গে নির্দেশ দিয়েছি, গ্রেপ্তার শুরু হয়েছে। এরপর আন্দোলনই বা কীসের জন্য।