চুয়েট ছাত্রলীগের উদ্যোগে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা পেলেন ভোগান্তিহীন সেবা

পোস্টকার্ড প্রতিবেদক ।।

চুয়েট ছাত্রলীগের উদ্যোগে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা পেলেন ভোগান্তিহীন সেবা
চুয়েট ছাত্রলীগের উদ্যোগে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা পেলেন ভোগান্তিহীন সেবা

চুয়েট ছাত্রলীগের সেবামূলক উদ্যোগে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক কোর্সের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা পেলেন ভোগান্তিহীন সেবা।

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ অক্টোবর শনিবার সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত প্রথম পর্বে ‘ক’ এবং ‘খ’ গ্রুপের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

এরপর ‘খ’ গ্রুপের মুক্তহস্ত অংকন পরীক্ষা বিকাল আড়াইটা থেকে সাড়ে ৪ টায় শেষ হয়।

১২টি বিভাগে ৮৯০ আসনের (১১টি উপজাতি কোটাসহ মোট ৯০১ আসন) বিপরীতে মোট ১০ হাজার ৯৭২ জন ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।

শনিবার সকাল হতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা শিক্ষার্থীদের নানা দিকনির্দেশনা দেন চুয়েট ছাত্রলীগের কর্মীরা।

তারা পরীক্ষার্থীদের ছয় হাজার কলম ও পানির বোতল বিতরণ করেন। চুয়েটের প্রধান ফটকের পাশে স্থাপন করেন মেডিক্যাল ক্যাম্প। চুয়েটের আশেপাশের খাবারের দোকানগুলো যাতে অতিরিক্ত মূল্য আদায় করতে না পারে সেই লক্ষ্যে ছাত্রলীগের একটি পর্যবেক্ষক দল সকাল হতে কাজ করেন।

ছাত্রলীগের ৪০ জনের একটি দল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সমন্বয় করে গাড়ি পার্কিং ও যানজট নিরসনে লক্ষ্যে চুয়েট হতে পাহাড়তলী বাজার পর্যন্ত সর্বাক্ষণিক কাজ করতে দেখা যায়।

এরপূর্বে শনিবার রাত ৮ টা হতে রবিবার সকাল ৮ টা পর্যন্ত চুয়েট ছাত্রলীগের আটটি দল নগরীর আটটি স্থানে হেল্প ডেস্ক স্থাপন করে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা শিক্ষার্থীদের যানবাহন ও পথ নির্দেশনা দেন।

রাতে ক্যাম্পাসে অবস্থানকরা পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের ছয়টি আবাসিক হলে রাত্রীযাপনের ব্যবস্থা করেন।

চুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ ইমাম বাকের বলেন, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের যেনো কোনো ধরণের সমস্যা না হয় সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী। সবার সহযোগিতা ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের কারণে এতো সুন্দর ভাবে ভর্তি পরীক্ষাটি সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে।

অতীতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা শিক্ষার্থীরা নানাবিধ ভোগান্তির সম্মুখীন হতো। সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে গত বছর হতে চুয়েট ছাত্রলীগ এই সেবামূলক উদ্যোগ গ্রহণ করেন।