জঙ্গল সলিমপুরের ভূমি থাকবে সরকারি নিয়ন্ত্রণে, প্রকৃত ভূমিহীনদের পুনর্বাসন করে পাহাড় দখলমুক্ত করা হবে : ভূমিমন্ত্রী

জঙ্গল সলিমপুরের ভূমি থাকবে সরকারি নিয়ন্ত্রণে, প্রকৃত ভূমিহীনদের পুনর্বাসন করে পাহাড় দখলমুক্ত করা হবে : ভূমিমন্ত্রী
জঙ্গল সলিমপুরের ভূমি থাকবে সরকারি নিয়ন্ত্রণে, প্রকৃত ভূমিহীনদের পুনর্বাসন করে পাহাড় দখলমুক্ত করা হবে : ভূমিমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক ।।

সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরে পাহাড় কেটে নির্মাণ করা অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হবে। এই পাহাড়ের ভূমি থাকবে সরকারি নিয়ন্ত্রণে। তবে এখানে বসবাসকারী সকল প্রকৃত ভূমিহীনদের পুনর্বাসন করা হবে। তাই ভূমিহীনদের কোন সমস্যা হবে না।

রবিবার (২৪ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সন্ত্রাসীদের অভয়ারন্য খ্যাত আলোচিত জঙ্গল সলিমপুর এলাকা পরিদর্শনকালে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, জঙ্গলসলিমপুরে আর কোন ভূমিদস্যুতা চলবে না। এই এলাকার বিপুল সরকারি খাস জায়গা নিয়ে মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে আমিও এলাকাটি পরিদর্শনে এসেছি। এদিন মন্ত্রী বিকেল ৫টা থেকে প্রায় দেড় ঘন্টা সলিমপুরের আলীনগর পাহাড়ে অবস্থান করেন। সরেজমিনে আলীনগরে নির্বিচারে পাহাড় কেটে প্লট তৈরি ও অবৈধ বসতি স্থাপনের দৃশ্যও দেখেন তিনি। পরে এলাকাবাসীর সাথে মত বিনিময় করেন। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহাদাত হোসেনের সঞ্চালনায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) রেজাউল করিম, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক ড. বদিউল আলম, সীতাকু- উপজেলা চেয়ারম্যান এস.এম আল মামুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাজমুল আহসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল.এ) মাসুদ কামাল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল করিম, ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের সভাপতি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, জঙ্গল সলিমপুরের উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নানান পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে এখান থেকে সকল অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। এছাড়া আজ থেকে এখানে আর নতুন করে কোন বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হবে না। সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে পাহাড় কাটা ও প্লট বিক্রি বন্ধ করা হবে।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুর পাহাড়ি বিস্তীর্ণ ভূমিকে ঘিরে সেখানে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী গ্রুপ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এসব সন্ত্রাসী চক্রের সদস্যরা ৩ হাজার একরেরও বেশি পাহাড় কেটে প্লট বিক্রির মাধ্যমে গড়ে তুলেছে বিশাল সাম্রাজ্য। সম্প্রতি এখানে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের গাড়ি বহর থেকে স্থানীয় সন্ত্রাসী ইয়াছিন মিয়ার বাহিনী তুলে নিয়ে মারধর করলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ শুরু করে। এরপর জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সেখানে আলীনগর এলাকায় প্রথমবারের মতো দুঃসাহসিক অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল আলম। সেসময় সেখানে হাজার হাজার একর পাহাড় কেটে সড়ক, বসতি স্থাপন ও বিদ্যুৎ-পানির সরকারি লাইন স্থাপনের দৃশ্য সকলকে অবাক করে। 

খালেদ / পোস্টকার্ড ;