ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অতিরিক্ত ওজনের গাড়ি চলাচল বন্ধ করা হোক

পোস্টকার্ড প্রতিবেদক ।।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অতিরিক্ত ওজনের গাড়ি চলাচল বন্ধ করা  হোক
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অতিরিক্ত ওজনের গাড়ি চলাচল বন্ধ করা হোক
ঢাকা -চট্টগ্রাম মহাসড়কযে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। স্বাভাবিকভাবে এই মহাসড়কটি খুব ব্যস্ত একটি সড়ক। বৃহত্তর চট্টগ্রামের থেকে রাজধানী ঢাকা সহ যে কোন জেলায় যেতে হলে এই সড়কটির বিকল্প নেই। ফলে প্রতিদিন চট্টগ্রাম থেকে হাজার হাজার গাড়ি রাজধানী ঢাকা ছাড়্রা এই অঞ্চলের জেলা গুলিসহ অন্যান্য জেলায় যাওয়া আসা করে। যে সংবাদটি পত্রিকায় এসেছে তা পিলে চমকানো। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়কের মালবাহী যানবাহনের উপর ওপর প্রশাসনের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। এই মহা সড়ককে কতটুক ওজন নিয়ে যানবাহন চলতে পারে তার একটা সীমা আছে। কিন্তু যান চলাচলে প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ না থাকার সুযোগে শিল্পকারখানার কাঁচামাল ও উৎপাদিত পণ্য আনা নেয়ায় মাত্রাতিরিক্ত মালবোঝাইকৃত যানগুলোর কারণেই মহাসড়ক যখন তখন দেবে যাচ্ছে। এর ফলে বিভিন্ন স্থানে খানা খন্দের সৃষ্টি হয়ে যান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে রাত্রী বেলায় দ্রুতগতিতে চলা যানবাহনগুলি এ সব খানা খন্দক খেয়াল করতে না পারায় দূর্ঘটনার সম্ভানা থেকে যায়। এই ওভারলোডিং গাড়ি গুলো ধীর গতিতে চলার কারণে এই মহসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি করছে। এতে বিড়ম্বনায় পড়ছেন যাত্রী সাধারণ। এ ছাড়া এই মহাসড়কের আশে পাশের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলি নিজেদের প্রতিষ্ঠানের সামনে যত্রতত্র যানবাহন দাঁড় করিয়ে রাখার ফলে ব্যস্ততম এই সড়কে স্বাভাবিক যান চলচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।
 
পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা যায়,ভারি এসব যানবাহন সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত পশ্চিম দিকের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন গ্রামীণ সড়কগুলোর। শিপইয়ার্ড থেকে শুরু করে গড়ে ওঠা শিল্পকাখানার পণ্য আনা- নেয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করছে এসব সড়কগুলো। বারআউলিয়া হাইওয়ে পুলিশের ওসি ও সড়ক জনপদের প্রকল্প নির্বাহীও স্বীকার করেছেন অতিরিক্ত মাল বোঝাইকৃত গাড়ির জন্য মহাসড়কটি ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে।
 
রাজধানী ঢাকা সহ অন্যান্য জেলার সাথে একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম এই সড়কটিতে চলাচলকৃত যানবাহনের ওপর প্রশাসনের কোন নিয়ন্ত্রণ থাকাটা মেনে নেয়া যায় না। জনস্বার্থে প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যাতে অতিরিক্ত মালবোঝাই করা গাড়ি চলতে না পারে। তা না হলে রাস্তাটি অচিরেই ক্ষত বিক্ষত হয়ে পড়বে। দূর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়াবে। আর বাড়াবে বিরম্বনা।