ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে বসার সিট না পেয়ে মানববন্ধন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ।।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে বসার সিট না পেয়ে  মানববন্ধন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে বসার সিট না পেয়ে মানববন্ধন

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে বসার সিট না পেয়ে গ্রন্থাগারের সামনে মানববন্ধন করেছে । বুধবার দুপুর ১২টার দিকে এই মানববন্ধন করে তারা। এ সময় শিক্ষার্থীরা যুগোপযোগী ও বহুতল (সম্প্রসারিত) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার নির্মাণসহ ৪ দফা দাবি জানান।

দাবি সমূহের মধ্যে আছে, সমস্যার আশু সমাধানকল্পে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোন ভবনকে অস্থায়ী লাইব্রেরি হিসাবে ঘোষণা করা, গ্রন্থাগারে বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং গ্রন্থাগারে জরুরি বহির্গমন পথের ব্যবস্থা করা প্রভৃতি।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের আসন সংখ্যা শিক্ষার্থীদের তুলনায় কম। গ্রন্থাগারে বসার সিট পাবার জন্য প্রতিদিন খুব সকালে আসতে হয়। কিন্তু কোন কোন দিন তাড়াতাড়ি এসেও গ্রন্থাগারে বসার সিট পাওয়া যায়না। সকাল আটটার দিকে লাইব্রেরির প্রবেশপথ খুললেও বুধবার সকাল ৭টার আগে এসেও অনেকে সিট পায়নি। সিট না পেয়ে বিক্ষুদ্ধ এসব শিক্ষার্থীই পরে মানববন্ধন করে।      

এ সময় তারা ‘লাইব্রেরিতে সিট নাই, ডাকসু’র দরকার নাই’, ‘এত এত ভবন হয়, লাইব্রেরি কেন নয়!’, ‘২০ তলা ভবন হয়, লাইব্রেরিতে সিট নাই’, ‘বহিরাগত মুক্ত লাইব্রেরি চাই’, ‘ঢাবি তুমি ঘুমাও নাকি?’, ‘লাইব্রেরিতে সিট নাই! ডাকসু ঘুমায় কেন?’, ‘পড়তে এসে লাইন কেন?’ প্রভৃতি লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড বহন করেন।

মানববন্ধনে ফারসি ভাষা এবং সাহিত্য বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সায়ফুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক কিছুর পরিবর্তন হয়েছে, শুধু পরিবর্তন হয়নি লাইব্রেরি। ফজর নামাজের আগে এসেও আমাদের অনেক শিক্ষার্থী দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে কাক্সিক্ষত আসন নিশ্চিত করতে পারেন না।’

উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সার আহম্মেদ বলেন, আপনারা জানেন সম্প্রতি আমাদের গ্রন্থাগারে আগুন লাগলে শিক্ষার্থী ও প্রশাসন জরুরি বহির্গমণ পথের প্রয়োজন অনুর্বব করলেও এখন পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তাই অতি শীঘ্রই জরুরি বহির্গমন পথের ব্যবস্থা করতে প্রশাসন ও ডাকসু’র দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

শিক্ষার্থীদের এসব দাবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ডাকসুর কাছে পৌঁছানো হবে বলেও মানববন্ধনে জানানো হয়।