তবে কি জলে যেতে বসেছে সীতাকুন্ড স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৫০ লক্ষ টাকার কাজ?

তবে কি জলে যেতে বসেছে সীতাকুন্ড স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৫০ লক্ষ টাকার কাজ?
তবে কি জলে যেতে বসেছে সীতাকুন্ডের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৫০ লক্ষ টাকার কাজ!

নিজস্ব প্রতিবেদক, সীতাকুন্ড ।।

সীতাকুন্ডে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আঞ্চলিক প্রশিক্ষন কেন্দ্রে আবাসিক ভবন, অফিস ভবন, রাস্তার-বাগান ও গ্যারেজের অংশের কাজ দীর্ঘদিন পর সংস্কার চলছে। চার ঠিকাদারের অধিনের প্রায় ৫০ লাখ টাকার চলমান কাজের অফিস ভবনের রাস্তা উন্নয়ন ও বাগানের চারপাশে টাইলসের কাজ সম্পন্ন করে বরাদ্ধকৃত অর্থেও সাড়ে ৭ লাখ উত্তোলন করেছে এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। বরাদ্ধের সংরক্ষিত অর্থে প্রশিক্ষনার্থীদের আবাসিক ভবনের নষ্ট হওয়ার ছাদে জলছাদ তৈরী, কক্ষের বিভিন্ন অংশে টাইলস বসানো, অফিস ভবনের দরজা- জানালার পূন-নির্মান ও টাইলসের কাজ চলমান রয়েছে। তবে সিডিউল লঙ্ঘন করে সংস্কার কাজ চলতে থাকায় কাজের মান নিয়ে দেখা দিয়েছে শংকা।

নিন্ম মানের রড- সিমেন্ট ও ইট- বালিতে চলছে গ্যারেজের পূন-নির্মাণ কাজ। রোলিং মিলের বাংলা রড়ে ঢালায় দেয়ায় ছাদের স্থায়ীত্বে তৈরী হয়েছে দুর্বলতা। তড়িগড়ি করে পুরোনো প্রলেপ রেখে আবাসিক ভবনের রঙের কাজ করায় বৃষ্টি ও রোদের প্রখরতায় নতুন রঙ খসে পড়ে দালানের চারপাশে ভেসে উঠেছে পুরোনো রঙের অংশ। নষ্ট হয়ে পড়া ছাদের পুরোনো অংশ সম্পূর্ন না ফেলে চলছে জলছ তৈরীর প্রস্তুতি। ইলেকট্রিক ও টাইলসের কাজে নিন্ম মানের উপকরন ব্যবহারের ফলে ফুটে উঠবে বিদ্যুৎতের পুরোনো চিত্র। এ পরিস্থিতি অর্ধ কোটির টাকার কাজের মান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের লোকজন। তবে যথানিয়মে কাজ করা চলছে বলে জানান ঠিকাদারের লোকজন।

এদিকে, ইজারা পাওয়ার পর থেকে শ্রমিকের মাধ্যমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদাররা। তদারকি না থাকায় তড়িৎ গতিতে যেনতেনভাবে কর্তব্য কর্ম সারছেন কর্মরত লোকজন। আর এভাবে কাজের গুনগত মান ঠিক না থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে কাজ বুঝিয়ে দিচ্ছেন ঠিকাদার।

এ বিষয়ে আঞ্চলিক প্রশিক্ষন কেন্দ্রের দায়ীত্বরত কর্মকর্তা চয়ন বড়ুয়া বলেন,‘ দায়ীত্বরত কর্মকর্তাও অসুস্থতার কারনে কাজ তদরকি করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি সুস্থ হয়ে আসলে কাজের প্রতি নজর দিবেন বলে জানান তিনি।