দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে  : ইসি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে  : ইসি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে  : ইসি

বিশেষ প্রতিবেদক।।

নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছরের (২০২৪ সালের)  জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে। তবে আমরা এখনও কোন ভোটগ্রহণের কোন তারিখ ঠিক করিনি। আজকের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়ে গেল।

শনিবার (০২ সেপ্টেম্বর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে প্রথম ধাপের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষক (টিওটি) কার্যক্রম উদ্বোধন করেন  প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব। প্রতি ব্যাচে শতাধিক প্রশিক্ষক নিয়ে তিন হাজার ২০০ জনকে টিওটি দেওয়া হবে।

প্রশিক্ষকদের উদ্দেশ্যে ইসি মো. আনিছুর রহমান বলেন, আপনারা যারা এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিবেন তারা প্রথমে অঞ্চলভিত্তিকভাবে প্রশিক্ষণ করাবেন। এরপর অঞ্চলে যারা প্রশিক্ষিত হবেন তারা জেলা পর্যায়ে এবং জেলার প্রশিক্ষিতরা উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণ দিবেন। সাধারণত নির্বাচনের কয়েকদিন আগে আমি নিজেও দুইবার সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছিলাম।

তিনি বলেন, আমাদের ইলেকশনের তিনদিন চারদিন আগে অল্প সময়ের জন্য, তারপরে এরকম তিনদিন চারদিন আগে ট্রেনিং করা হতো। সেই সময় কোন প্রশ্ন বা কোন জবাব দেওয়ার সুযোগ ছিল না। কারন দুইদিন তিনদিনের মধ্যে অনেক কাজ করতে হতো। ওই সময় কাজের তুলনায় লোকবল ছিল না। এখন হয়তো লোকবল অনেকটাই পাওয়া যাচ্ছে। বিভিন্নভাবে আপনারা যারা সীমাবদ্ধতা থাকবে আমার ধারণা যে, আপনারা আইন-কানুন বিধি-বিধান সম্পর্কে একটু জানবেন। 

তিনি আরও বলেন, প্রিজাইডিং অফিসারের ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি ভোটের দিনে। না জানার কারণে অনেকে বিষয়টা জানেন না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলেও করণীয় আছে, আইনে প্রিজাইডিং অফিসারের ভোট বন্ধ করারও ক্ষমতা দেয়া আছে। সেসময় ম্যাজিস্ট্রেটি পাওয়ার দেয়া থাকে, তাও কাজে লাগানোর সুযোগ আছে। আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম আজকে থেকে শুরু হয়ে গেল বলে জানান এ কমিশনার।

নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, আমাদের চাকরিতে ঢুকেছি তখন নির্বাচনে কোনরকম প্রশিক্ষণই হতো না। কিন্তু নির্বাচন তো ঠিকই করতাম। তারপরও নির্বাচন নিয়ে কোনরকম কথাবার্তা হতো না। কিন্তু দিন যত যাচ্ছে ততই সবকিছু জটিল হচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে নির্বাচনও জটিল হয়ে গেছে। এই জটিল হওয়ার কারণে এতো আইনকানুন ও এতো প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয়। আমাদের নির্বাচন আইন আছে, সেগুলো আপনারা দেখে বা পড়ে নিবেন। আপনাদের কাছে বেশি কথা না বলাই ভালো। নিজে পড়লেই জানা যায় সবকিছু।

নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, আপনারা আইনকানুনগুলো ভালো করে দেখে নিবেন, পড়ে নিবেন। নির্বাচন যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করবেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য করার চেষ্টা করা হবে বলে জানান তিনি।

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব. আহসান হাবিব খান বলেন, কঠিন প্রশিক্ষণ সহজ যুদ্ধ। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ করার জন্য সকলের সহযোগিতা দরকার। যত সুন্দরভাবে প্রশিক্ষণ হবে, ততই একটা সুন্দর নির্বাচন হবে। আমরা দায়িত্ব নিয়ে ১ হাজার নির্বাচন সুন্দর ও অবাধভাবে করেছি। কোন কথা উঠে নাই, সেসব নির্বাচন নিয়ে। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ভূমিকা অনেক। একটা সুন্দর সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনে ভূমিকা রাখেন। - সময়ের আলো ।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;