' নো মাস্ক, নো এন্ট্রি ' আজ থেকে কার্যকর , নগরীর পাঁচ প্রবেশমুখে পাহারায় চসিক

' নো মাস্ক, নো এন্ট্রি ' আজ থেকে কার্যকর , নগরীর পাঁচ প্রবেশমুখে পাহারায় চসিক
' নো মাস্ক, নো এন্ট্রি ' আজ থেকে কার্যকর , নগরীর পাঁচ প্রবেশমুখে পাহারায় চসিক

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ‘নো মাস্ক, নো এন্ট্রি’ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আজ থেকে। শহরের পাঁচটি প্রবেশমুখ অক্সিজেন, কাপ্তাই রাস্তার মাথা, শাহ আমানত সেতুর মুখ, সিমেন্ট ক্রসিং ও সিটি গেটে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) পাহারা বসাচ্ছে । চসিককে এ কাজে সহযোগিতা করছে বিএনসিসি এবং যুব রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।

সংশ্লিষ্টরা জানান- বিএনসিসি এবং রেড ক্রিসেন্টের ১০ জন করে ২০ জন সদস্য একেকটি পয়েন্টে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। মাস্কবিহীন শহরমুখী মানুষদের বাধা দেয়ার পাশাপাশি সামর্থহীনদের মাঝে মাস্ক এবং সাবানও বিতরণ করা হবে।

চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন জানান, করোনার কারণে আজ বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে প্রচুর প্রাণহানি ঘটছে। আমরা হিসাব পাচ্ছি যারা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে তাদের। যারা ঘরে বসে চিকিৎসা নিচ্ছে তাদের হিসাব আমরা পাই না। বাস্তবতা হল করোনা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে শহরের পাঁচ প্রবেশমুখে পাহারা বসানোর উদ্যোগ নিয়েছি। এর মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করাই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য।

খোরশেদ আলম সুজন বলেন, করোনা মহামারীর প্রকোপ দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ নতুন করে লকডাউন করেছে। কিন্তু আমাদের অর্থনীতি তাদের মত সবল নয়। আমাদেরকে করোনা নিয়ে বাঁচতে হবে। এজন্য দরকার সচেতনতা। সচেতনভাবে চলাফেরা করলে করোনা-ঝুঁকি অনেক কমে যায়। তাই মাস্ক ব্যবহার অতীব জরুরি।

মাস্ককে আমাদের দেশের জন্য বিকল্প ভ্যাকসিন অভিহিত করে তিনি বলেন, মাস্ক না পরলে এই শহরে আমি কাউকে প্রবেশ করতে দেব না।

মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে এই কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, প্রতিদিন এই শহরের প্রবেশমুখ দিয়ে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে লাখো মানুষ প্রবেশ করে। তারা আবার কাজশেষে বাড়িতে নিজ পরিবারের কাছে ফিরে যায়। মাস্ক ছাড়া চলাফেরা করলে নিজে আক্রান্ত হয়ে তারা নিজের পরিবারের সদস্যদের আক্রান্ত করতে পারে। পাশের জনকেও আক্রান্ত করতে পারে। মাস্ক পরলে সবাই নিরাপদ। সরকারও চায় সবাই মাস্ক পরে নিরাপদ থাকুক। কিন্তু সবাই সচেতন নই বলেই অনেকেই মাস্ক পরে না।