পাহাড়ে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা অপসারণে আদালতের নির্দেশ 

পাহাড়ে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা অপসারণে আদালতের নির্দেশ 
পাহাড়ে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা অপসারণে আদালতের নির্দেশ 

আদালত ডেস্ক ।।

জঙ্গল সলিমপুর, আকবরশাহ, বায়েজিদ বোস্তামী ও খুলশীসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে পাহাড় কেটে ঘরবাড়ি ও স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

তাছাড়া পাহাড় কাটা এবং পাহাড়ে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন আদালত। এছাড়া যারা পাহাড় কেটেছে তাদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি পাহাড়ে ঘরবাড়ি ও স্থাপনা নির্মাণ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং পাহাড়ে ঘরবাড়ি ও স্থাপনা নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

আগামী ৩০ দিনের মধ্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্টদের পাহাড়ে অবৈধভাবে নির্মিত বাড়িঘর ও স্থাপনা অপসারণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তাছাড়া পাহাড় কাটা এবং পাহাড়ে যাবতীয় স্থাপনা নির্মাণ বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলছেন। এ বিষয়ে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতেও বলা হয়েছে।

গতকাল রোববার মানবাধিকার সংগঠন ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ’র করা (এইচআরপিবি) এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে বিচাপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো, ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আগামী ১৫ দিনের মধ্যে চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী, আকবরশাহ, খুলশীসহ নগরের বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে পাহাড় কেটে ঘরবাড়ি ও স্থাপনা তৈরি করার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের ১৫ ধারায় ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। আর যাতে কেউ পাহাড় না কাটতে পারে সেজন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে মনিটরিং সেল গঠন করতে বলছেন আদালত। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদসহ আরো কয়েকজন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।

প্রসঙ্গত : গত ১ আগস্ট পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ যুক্ত করে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মানবাধিকার সংগঠন ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)’ এ বিষয়ে রিট আবেদন করে। রিটে গত ২৬ জুলাই একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত ‘চট্টগ্রামে পাহাড়ে লোভের কোপ পাহাড় কেটে প্লট, উঠছে দালান’ সংযুক্ত করা হয়। এতে বায়েজিদ বোস্তামীতে পাহাড় কেটে প্লট বাণিজ্য চলছে এবং এসব প্লটে দালান বানিয়ে পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

এই বিষয়ে এডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, পাহাড়ে গড়ে তোলা স্থাপনা উচ্ছেদের আদেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। আদালতের এই আদেশ প্রতিপালনের জন্য জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।

খালেদ / পোস্টকার্ড