বন্ধের মধ্যে স্কুল - মাদ্রাসা'র বেতন দেয়ার জন্য ক্ষুদে বার্তা,অভিভাবকের ক্ষোভ প্রকাশ

বন্ধের মধ্যে স্কুল - মাদ্রাসা'র বেতন দেয়ার জন্য ক্ষুদে বার্তা,অভিভাবকের ক্ষোভ প্রকাশ
বন্ধের মধ্যে স্কুল - মাদ্রাসা'র বেতন দেয়ার জন্য ক্ষুদে বার্তা,অভিভাবকের ক্ষোভ প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

টানা লকডাউনের মধ্যে স্কুল ও মাদ্রাসার ফি পরিশোধ করতে অভিভাকদের ক্ষুদে বার্তা পাঠানোর পাশাপাশি ফোন করছেন নগরীর কিছু কিছু স্কুল ও মাদ্রাসা । সরাসরি স্কুলে গিয়ে কিংবা ব্যাংক হিসাব মাধ্যমে ফি পরিশোধ করতে বলে কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। অভিভাবকদের অভিযোগ, করোনাভাইরাসের কারণে বাসা থেকে বের হওয়ার সুযোগ নেই, সেখানে স্কুলের ফি দেয়ার জন্য বারবার মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা এমনকি ফোন করছেন কর্তৃপক্ষ।

নগরীর ইপিজেড এলাকার নাবিক কলোনি-২ এর আশার আলো স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে এক অভিভাবক জানান, সরকারের ঘোষণার পর থেকে স্কুল বন্ধ। দেশের পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় বাসা থেকে বের হওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু এই অবস্থায় স্কুল থেকে বারবার মেসেজ দিচ্ছে স্কুলের ফি পরিশোধের জন্য। এই অবস্থায় মানুষ কিভাবে স্কুলে গিয়ে ফি পরিশোধ করবে? আর অনেক পরিবার শহরে ছেড়ে গ্রামে চলে গিয়েছে। তারা কিভাবে বেতন দিবে?

এদিকে নগরীর আকবর শাহ থানার মাদ্রাসা দারুন নাহযা আল- ইসলামিয়া'র এক অভিভাবক অভিযোগ করেন বার বার বেতনের জন্য মাদ্রাসা থেকে ফোন দিচ্ছে পাশাপাশি ছোট্ট শিশুদের মোবাইলে ক্লাসের নামে মোবাইল আসক্ত করছে।

একই অভিযোগ করেন নগরীর নন্দনকানন ফুলকি স্কুলের এক অভিভাবক। ওই অভিভাবকের দাবি, করোনাভাইরাসের কারণে যেখানে বাসায় থাকার জন্য সরকার বারবার অনুরোধ করছে, সেখানে এই মুহূর্তে স্কুলের বেতন নেয়াটা কতটা যৌক্তিক। আর স্কুল খুললে তো সবাই বেতনসহ যাবতীয় ফি দিবে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আশার আলো স্কুলের প্রিন্সিপাল জানান, আমাদের স্কুলের নিয়ম অনুযায়ী ৭ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে স্কুলের ফি পরিশোধ করতে হয়। করোনাভাইরাসের কারণে আমরা এই মাসে ২৫ তারিখ পর্যন্ত সময় দিয়েছি এবং যারা এই সময়ের মধ্যে ফি দিতে পারবে না, তারা আগামী মাসে দিতে পারবে।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক বিপ্লব গাঙ্গুলী জানান, দেশের এ দুঃসময়ে বিদ্যালয়গুলো অভিভাবকদের কাছ থেকে এভাবে টাকা চাওয়াটা তো অমানবিক। কিভাবে মানুষ এখন স্কুলে গিয়ে টাকা দিবে। যেখানে মানুষ বাসা থেকেই বের হতে পারছে না, সেখানে ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে গিয়ে টাকা দেওয়ার কোন মানে হয় না। অনেকগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হচ্ছে।