বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সন্দ্বীপ উপজেলার সম্মেলনে শাহজাহান সভাপতি মিশন সম্পাদক নির্বাচিত

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সন্দ্বীপ উপজেলার সম্মেলনে শাহজাহান সভাপতি মিশন সম্পাদক নির্বাচিত

পোস্টকার্ড ( সন্দ্বীপ) প্রতিনিধি ।।

সন্দ্বীপ দেশের মুল ভুখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন , সন্দ্বীপকে চট্টগ্রামের মুল ভুখন্ডের সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে বলে দাবী জানান আওয়ামীলিগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইন্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন। দীর্ঘ আট বছর পর অনুষ্ঠিত সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামীলিগ এর ত্রি-বার্ষিক সন্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশনে তিনি এ প্রস্তাব উথ্বাপন করেন।

সন্দ্বীপ উপজেলা পরিষদ চত্তরে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে জেলা থেকে আগত নেতৃবৃন্দ আজ শনিবার বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মাষ্টার শাহজাহান বিএ কে সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাঈন উদ্দীন মিশনকে সাধারন সম্পাদক ঘোষনা করেন। সকাল থেকে আয়োজিত সন্মেলনে মাষ্টার শাহজাহান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সন্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি। সম্মেলনে উদ্বোধক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি। প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ সালাম।
এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সন্দ্বীপের সাংসদ মাহফুজুর রহমান মিতা, জেলা থেকে আগত ইউনুছ গনি চৌধুরী, এটি এম পেয়ারুল ইসলাম, এহছানুল হায়দার চৌধুরী, মোঃ গিয়াস উদ্দিন, রোমানা নাসরিন, এডঃ উম্মে হাবীবা, আবদুল্যা আল বাকের ভুইয়া, বাসন্তি প্রভা পালিত প্রমুখ।
 
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ সালাম বলেন সন্দ্বীপবাসী জাতীয় গ্রিডের যে বিদ্যুৎ পেয়েছেন এমপি মিতার একান্ত প্রচেষ্টায় তা সম্ভব হয়েছে। তিনি সংসদে জাতীয় ইস্যু না নিয়ে শুধু সন্দ্বীপের কথা বলেন বলে এমনটি সম্ভব হয়েছে।
 
অনুষ্ঠানে সন্দ্বীপের সাংসদ মাহফুজুর রহমান মিতা বলেন আজকের কাউন্সিলে জাতীয় নেতৃবৃন্দ যে সিদ্ধান্ত দিবেন আমরা সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের কর্মীরা সেটা মেনে নেবো। কারন সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগে কোন দ্বিধা বিভক্তি নেই। আমরা চাই সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে।

তার সুত্রধরে দ্বিতীয় অধিবেশনে জেলা নেত্রীবৃন্দ সভাপতি সম্পাদকের নাম ঘোষনা দেন। এতে বেশীর ভাগ নেতা কর্মী খুশী হলেও তৃনমুলের কাউন্সিলরদের মতামতের প্রতিফলন ঘটছেনা বলে অনেকে মন্তব্য করেন। তার বলেন কাউন্সিল অধিবেশনে ভোটাধীকার প্রয়োগ করতে পারলে ফলাফল অনেক ব্যতিক্রম হতো।