বিশ্বে ভারত ধর্ষণের রাজধানী !

বিশ্বে ভারত ধর্ষণের রাজধানী !
বিশ্বে ভারত ধর্ষণের রাজধানী !

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  ।।

ধর্ষণের মাত্রাটা বেড়েই চলেছে বিশ্বে। বর্তমানে ধর্ষণ যেন একটা নিরব ঘাতক। নারীদের পাশাপাশি সংখ্যালঘুরাও ভারতে নিরাপদ নয় বলে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এছাড়া ভারতকে বিশ্বের ধর্ষণের রাজধানী বলেও অবহিত করেন তিনি।

এদিকে মূলত বিজেপির অপরাজনীতির কারণেই দেশে ধর্ষণ বেড়েছে বলে মন্তব্য উত্তর প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতীর। হায়দ্রাবাদে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের গুলি করে হত্যার তীব্র সমালোচনা করেছেন ভারতের প্রধান বিচারপতি। অন্যদিকে ধর্ষকের বিচার করতে দেশব্যাপী আরও এক হাজারের বেশি দ্রুত বিচার আদালত স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি প্রশাসন।

ভারতে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় রাস্তায় নেমে প্রতিবাদী স্লোগান দেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। রাজধানী নয়াদিল্লীর ওই বিক্ষোভে প্রতিবাদকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে, সড়কের মোড়ে মোড়ে দেয়া হয় ব্যারিকেড। শুধু নয়াদিল্লীই নয়, প্রতিবাদ বিক্ষোভে মুখর ভারতের অন্যান্য রাজ্যের রাজপথও।

তেলেঙ্গানা ও উত্তরপ্রদেশের ধর্ষণকাণ্ডে ভারতজুড়ে উত্তাল অবস্থার মধ্যেই কলকাতায় শিশু ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শহরজুড়ে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা, বিভিন্ন অভিযোগে অর্ধশত ব্যক্তিকে আটকও করা হয়েছে।

এ অবস্থায় কেরালায় এক সভায় যোগ দিয়ে কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা রাহুল গান্ধী ভারতকে ধর্ষণের রাজধানী হিসেবে অভিহিত করেন।

তিনি বলেন, নারীসহ সংখ্যালঘুরা মোদি প্রশাসনের কাছে নিরাপদ নয়।

তিনি বলেন, ‘সরকারের কাছে অনুরোধ জানাবো, ধর্ষকদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করুন। তারা আমাদের মা-বোনদের শত্রু। তাদের কঠোর বিচার হওয়া উচিত। ধর্ষণ নিয়ে আমরা আর উদ্বেগের মধ্যে থাকতে চাই না।’

রাহুলের সুরে কথা বলেন উত্তরপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতীও।

তিনি বলেন, ‘বিজেপির আমলে নারীরা একদমই নিরাপদ নন। উত্তরপ্রদেশের অবস্থা সব থেকে খারাপ। উত্তরপ্রদেশে এমন কোনো দিন নেই যেদিন ধর্ষণের ঘটনা ঘটে না।’

উত্তরপ্রদেশে ধর্ষিতার পরিবারকে ২৫ লাখ রুপি সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে রাজ্য সরকার। আর নরেন্দ্র মোদির কেন্দ্রীয় সরকার জানায়, ধর্ষণের বিচার দ্রুত করতে এক হাজারের বেশি দ্রুত বিচার আদালত বসানো হচ্ছে দেশব্যাপী।

এদিকে হায়দ্রাবাদে চিকিৎসককে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের বন্দুকযুদ্ধে মারা যাওয়াকে বিচার ব্যবস্থার জন্য অশনি সংকেত বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবডে। তবে তিনিও এও স্বীকার করেছেন, বর্তমান প্রচলিত ধারায় বিচার প্রক্রিয়া বেশ সময়সাপেক্ষ।