মাদারবাড়ি মুক্তকণ্ঠ ক্লাব , তুমি কার ?

মাদারবাড়ি মুক্তকণ্ঠ ক্লাব , তুমি কার ?
মাদারবাড়ি মুক্তকণ্ঠ ক্লাব , তুমি কার ?

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের অন্তর্ভুক্ত সংগঠন মাদারবাড়ি মুক্তকণ্ঠ ক্লাব ১৯৮৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পুনঃ প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৯ সালে । প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ২০১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন হারুন-অর-রশিদ। ২০১৪ সালের শেষ দিকে প্রতিরোধ করে হারুন অর রশিদকে মারধর ও পা ভেঙ্গে দিয়ে মেডিকেলে ভর্তি করানো হয়। এই সুযোগে সংগঠনের অন্যান্য সদস্যগণ গঠনতন্ত্র ধারা অমান্য করে সাধারণ সম্পাদককে বাদ দিয়ে সভার মাধ্যমে সাইফুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। সে সময়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রচারিত হয়। এ ব্যাপারে জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর ও চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা কে পত্র প্রেরণ করে । এমত অবস্থায় হারুন চলে গেলে ২০১৬ সালের চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা সাইফুল বনাম জাহাঙ্গীর আশরাফের বৈধ-অবৈধ কমিটির নিরসন কমিটির সভা হয় । সেই দিন জাহাঙ্গীর আশরাফ জয়লাভ করলো। দীর্ঘ আট বছর যারা সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে দুই বছর মেয়াদী কোন কমিটি অনুমোদনের জন্য পত্র প্রেরণ করে নাই এবং বার্ষিক প্রতিবেদন দাখিল করে নাই। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা সেদিন দুই পক্ষকে বৈঠকে ডেকেছিলেন দুঃখের বিষয় হচ্ছে তিনি একাধিকবার অভিযোগ করেছেন সেই তৃতীয় পক্ষকে ডাকেনি। তার ফলে আশ পুনরায় এ সমস্যা রয়ে গেল।

২০২০ সালের শেষ সময়ে সংগঠনের গঠনতন্ত্র ধারা মোতাবেক তালবী সভার মাধ্যমে প্রথম সভাপতি সাধারণ সম্পাদক কে নিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয় সেই সভায় সামাজিক কার্যক্রম থেকে ক্লাব দূরে চলে যাচ্ছে এবং করোনা মহামারীতে সংগঠনের পক্ষে কার্যক্রম পরিচালনা করতে সক্ষম হয়। তাই পাঁচ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। গত ১৮ জুলাই ২০২১ জেলা সমাজসেবা তে কমিটি অনুমোদনের জন্য আবেদন করেন। পাঁচের অক্টোবর ২০২১, ২১ সদস্যের কমিটি অনুমোদন দেন জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ শহিদুল ইসলাম। ২২ শে সেপ্টেম্বর ও ১৪ নভেম্বর ২০২১ দুই দফা অভিযোগ দাখিল করেন বর্তমানে হালনাগাদ করে যে সাধারণ পরিষদের সদস্যপদের যাদের নাম নাই তারা অভিযোগ করেন। এবং চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার দুইপক্ষের সৃষ্টি জটিল সমস্যা সমাধানের জন্য বিশ্বে নভেম্বর ২০২১ সালিশি সভার আয়োজন করে। ফয়জুর রহমান ও আশরাফুজ্জামানের আবেদনের প্রেক্ষিতে সাত দিনের সময় আবেদন মঞ্জুর করে।তাহার পরিপ্রেক্ষিতে ২৪ শে নভেম্বর ২০২১ জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর বিদ্যমান কমিটির কার্যক্রম স্থাগিত করে।

ইমতিয়াজ- হারুন পরিষদ ৫ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দিনের জন্য অপেক্ষা করে। কোন সাড়া শব্দ না দেখে আদালতের শরণাপন্ন হন। এরমধ্যে ফয়জুর রহমান-আশরাফুজ্জামান জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের আদেশ কে অমান্য করে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যায়। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দ্বিতীয় সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে মামলা নং ৯৩৪/২১ চলছে। তবে ১৫ মার্চ ২০২২ বিবাদী গণের প্রতিবেদন দাখিল করার শেষ সময় ছিল। সুতরাং ঐদিন যদি চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা ৩ গ্রুপকে ডেকে নিতে আজ সমস্যা হতো না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্রীড়া সংগঠক বলেন সত্যের জয় অবধারিত যখন থেকে মাদারবাড়ি মুক্তকন্ঠ ক্লাব প্রতিষ্ঠিত তখন থেকে ক্রীড়াঙ্গনে হারুন অর রশীদ কে একনামে চিনে। যে দুজন ক্ষমতার অপব্যবহার করে দীর্ঘদিন কার্য পরিচালনা করেছেন করে আসছে তাদেরকে ক্রীড়াঙ্গনে কেউ তেমন ছিল না তবে মাদারবাড়ি এলাকায় তাদের সামাজিক কর্মকাণ্ড ও করোনাকালীন সাহায্য সহযোগিতা করতে দেখা যায়নি। দেখা বিষয় হচ্ছে আদালত রায় কি হয় মুক্তকণ্ঠ তুমি কার ? দীর্ঘ দিনের পুরনো সংগঠনটি যেন সঠিক ব্যাক্তির হাতে আসে এবং কালের গর্ভে হারিয়ে না যায়।

খালেদ /পোস্টকার্ড ;