যারা অবধৈভাবে অর্থ উর্পাজনে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে: শেখ হাসিনা

যারা অবধৈভাবে অর্থ উর্পাজনে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে: শেখ হাসিনা
যারা অবধৈভাবে অর্থ উর্পাজনে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে: শেখ হাসিনা

পোস্টকার্ড প্রতিবেদক ।।

আওয়ামীলীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি মানুষকে যন্ত্রণা দিতে পারে, শান্তি দিতে পারে না। বিএনপি জামায়াত জোট সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। তাই কেউ যদি অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করে সেটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না।

শনিবার ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রেখেছি, এটা অব্যাহত থাকবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান এটাও অব্যাহত থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান যেমন স্বাধীনতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী করেছিল, প্রধানমন্ত্রী করেছিল, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসেও সেই একই কাণ্ড ঘটালো। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া একটা নির্বাচন করেছিল। যে নির্বাচনে বাংলাদেশের কোনও দল অংশ নেয়নি। সেটা একটা সাজানো নির্বাচন ছিল। সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের সহযোগিতায় একটি নির্বাচন করলো। যেখানে বোধ হয় দুই শতাংশ ভোটও পড়েনি। জনগণের ভোট চুরি করে নির্বাচন করে নিজেকে তৃতীয়বারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা দিলো। ‘ভোট চুরি করে খুনি রশিদকে নির্বাচিত করলো। কর্নেল রশিদ ও মেজর হুদাকে নির্বাচিত করে পার্লামেন্টে বসালো। খুনি রশিদকে খালেদা জিয়া পার্লামেন্টে বিরোধীদলীয় নেতার সিটে বসিয়ে দিলো। কিন্তু খালেদা জিয়া সেই ক্ষমতায় বেশি দিন থাকতে পারেনি। ভোটচুরির কারণে মাত্র দেড় মাস ক্ষমতায় ছিল। ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হয়ে, ৩০ মার্চ তাকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতিমদের জন্য টাকা এসেছে সেই টাকাটা ওদের ভাগ্যে জোটেনি। খালেদা জিয়ার অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে। এতিমের টাকা আত্মসাৎ করার জন্য খালেদা জিয়ার নামে মামলা হয়েছে। সেই মামলায় সে এখন কারাগারে। এটা কোন রাজনৈতিক মামলা না, একেবারে সরাসরি দুর্নীতির মামলা।

বিদ্যুৎ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির সময় বিদ্যুৎ উৎপাদন দুর্নীতির কারণে কমে গিয়েছিল। আমরা এসে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়েছি। তাদের কাজই হলো দুর্নীতি করা, লুটপাট করা আর মানুষকে নির্যাতন করা। হাওয়া ভবন খুলে লুটপাট করার সুযোগ তৈরি করা হয়েছিল।’