রোহিঙ্গা গণহত্যার পক্ষে সুচি যা বলছেন

রোহিঙ্গা গণহত্যার পক্ষে সুচি যা বলছেন
রোহিঙ্গা গণহত্যার পক্ষে সুচি যা বলছেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।

রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলার বিচারের শুনানি শুরু হয়েছে । আজ আবার শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দিনের মত এই  মামলার শুনানি। গাম্বিয়ার দায়েরকৃত মামলার শুনানির জবাবে অংশ নিয়ে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি বলেন, দুঃখজনকভাবে রাখাইনের অসম্পূর্ণ এবং বিভ্রান্তিকর চিত্র উপস্থাপন করেছে গাম্বিয়া

সান সু চি নিজের সেনাবাহিনীর পক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একগাদা মিথ্যাচার করেছেন। নাকচ করে দিয়েছেন মিয়ানমারের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ওপর বার্মিজ সেনাদের মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগটিও।

সু চি তার বক্তব্যে বলেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নয়, রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার মুখেই নাকি লাখ লাখ রোহিঙ্গা দেশ ছেড়ে বাংলাদেশ আশ্রয় নিয়েছে।  ২০১৬ সালে  ৪০০ আরসার সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা একে একে তিনটি সেনা- নিরাপত্তা চৌকিতে হামলা চালিয়ে ৯ জন নিরপত্তা বাহিনীকে হত্যা করে ৯টির অধিক অস্ত্র ও ৬৮ হাজারের বেশি গুলি ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

এরপর থেকে রাখাইন প্রদেশে নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী অভিযান শুরু করলে রাখাইনের বসবাসরত জনসাধারণের সাথে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ শুরু হয়। সেনাবাহিনীর এ অভিযানের উদ্দেশ্য ছিলো আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে  যে সব আরসা সদস্য ও অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠন অস্ত্র  অর্থ  ও সামরিক হামলার ট্রেনিং পেত তাদের ধরা। নিরীহ কাউকে আটক করা নয় বলেও জোর দাবি করেন সুচি। যা ২০১৬ তে শুরু হয়ে শেষ হয় ২০১৭ সালের শেষ দিকে এসে।

এসব শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিতে তার সরকার কি কি কাজ করছেন তার ফিরিস্তি তুলে ধরেছেন তিনি। বলেছেন মিয়ানমারে জন্ম নেয়া রোহিঙ্গা শিশুদের নাগরিকত্ব দেয়ার কথাও।

তিনি বলেন, গণহত্যার উদ্দেশে অভিযান পরিচালনার অভিযোগে বিচার শুরু হয়েছে। রাখাইনে মানবাধিকার লঙ্ঘন কোনোভাবেই মেনে নেবে না আমাদের সরকার। যখন দেশের বিচার ব্যবস্থা ব্যর্থ হবে, শুধু তখনই আন্তর্জাতিক বিচার আদালত এর বিচার করতে পারবে।

এছাড়া রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারকে আইসিজে নিয়ে আসায় গাম্বিয়ার বিরুদ্ধেও ক্ষোভ লুকানোর চেষ্টা করেননি তিনি। তার দাবি, গণহত্যার বিষয়ে গাম্বিয়া নাকি আদালতে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছেন। যদিও নিজের বক্তব্যের সমর্থনে তিনি কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেননি।

তিনি বলেন, যেসব সেনার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ প্রমাণিত হবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যদি মিয়ানমার সামরিক বাহিনী এমন কোনো কাজ করে থাকে; যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। তাহলে দেশের সংবিধান অনুযায়ী তাদের বিচার হবে।