শ্রমিকের সুরক্ষায় হাফিজ জুট মিলের অনন্য উদ্যোগ

শ্রমিকের সুরক্ষায় হাফিজ জুট মিলের অনন্য উদ্যোগ

মোহরম আলী সুজন,সীতাকুণ্ড,চট্টগ্রাম।।।

বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের সংকটময় মূহুর্তে শ্রমিকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে কারখানা চালানোর সরকারী নির্দেশনা বাস্তবায়নে রাষ্ট্রীয় পাটকল গুলোর মধ্যে অনন্য উদ্যোগ  গ্রহণ করছে হাফিজ জুট মিল কর্তৃপক্ষ।

শ্রমিকদের সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরন করে কারখানা চালু করতে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরন,থার্মাল স্কানারে তাপমাত্রা পরিমাপ, হ্যান্ড স্যানিটেশন ব্যবস্থা গ্রহন,জীবাণুনাশক স্প্রে টানেল স্থাপন করা হয়েছে।

স্প্রে টানেল এর তত্তবধায়ক,চিকিৎসক রাশেদ খান জানান,এখানে আমরা যে জীবানুনাশক স্প্রে তৈরী করেছি তা দৈনিক ১০০০ লিটার তিন শিপটের আড়াই হাজার শ্রমিকের জন্য ব্যবহারে ২৪ ঘন্টায় খরচ হবে ১ কেজি ডিটারজেন্ট পাউডার,২০০গ্রাম ব্লিচিং পাউডারের জন্য দুই থেকে আড়াইশ টাকা।

সিবিএ সভাপতি আবু তাহের জানায়, বাংলাদেশের কোন সরকারী মিলে এই জীবানুনাশক স্প্রে টানেলটি তৈরি করা হয়নি শুধুমাত্র হাফিজ জুট মিলে সিবিএ, ম্যানেজমেন্ট ও চিকিৎসা কর্মকর্তা মিলে শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এই ব্যবস্থা গ্রহন করেছি।

শ্রমিক দলের সাধারন সম্পাদক রবিউল হক জানান, লকডাউনের পর মিল চালু করতে শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য গৃহিত পদক্ষেপ সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।

কারখানায় কর্মরত শ্রমিকরা জানান,আমরা বিভিন্ন স্থান থেকে এসে একসাথে কাজ করার ক্ষেত্রে করোনা ভাইরাসের সংক্রামনে চিন্তিত ছিলাম। কর্তৃপক্ষের এমন উদ্যোগে আমরা জীবামুক্ত হয়ে কর্মস্থলে প্রবেশ করে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে পারছি বলে শংকামুক্ত আছি।

মিলের প্রকল্প প্রধান জনাব আহসান কবীর জানান, বিশ্বব্যাপি মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারনে শ্রমিকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরন করে কারখানা পরিচালনা করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সরকারী নির্দেশনা রয়েছে। আমাদের বিশেষ কিছু বস্তা তৈরির চাহিদা থাকার কারনে এবং বিজেএমসির নির্দেশনা অনুসারে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য জীবানুনাশক স্প্রে টানেল,থার্মাল স্কানার ও হ্যান্ড স্যানিটেশনের ব্যবস্থা করে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরন করে কারখানা চালু করেছি।এতে দুই হাজারের বেশী শ্রমিক নিশ্চিন্তে কাজ করতে পারবে বলে আমরা আশা করছি।