সীতাকুণ্ড বিএম কনটেইনার ডিপো বিস্ফোরণ, মামলার অগ্রগতি নেই ৬ মাসেও

সীতাকুণ্ড বিএম কনটেইনার ডিপো বিস্ফোরণ, মামলার অগ্রগতি নেই ৬ মাসেও
সীতাকুণ্ড বিএম কনটেইনার ডিপো বিস্ফোরণ, মামলার অগ্রগতি নেই ৬ মাসেও

নিউজ ডেস্ক ।।

ছয় মাসেও সীতাকুণ্ড বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনার মামলার কোনো অগ্রগতি হয়নি। তাছাড়া এতদিনে হয়ে গেলেও কোন গ্রেপ্তারও নেই। অন্যদিকে এজাহারভুক্ত আসামিরা নিয়মিত অফিস করছেন বলেও জানা গেছে। এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর ) ওই ডিপোতে আবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পাটের গুদামে লাগা ওই আগুনে কোনো হতাহত হয়নি। যদিও আগের ঘটনায় ৫১ জনের প্রাণহানি হয়। আহত হন অসংখ্য মানুষ।

এদিকে সম্প্রতি আবারো আগুন লাগার ঘটনায় ডিপো কর্তৃপক্ষ অন্যভাবে দেখছেন । অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে তারা। ডিপোর নির্বাহী পরিচালক মইনুল আহসানকে প্রধান করে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ডিপো কর্তৃপক্ষ অভিযোগ দেয়নি।

প্রসঙ্গত গত ৪ জুন কনটেইনার ডিপোটিতে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড বিস্ফোরণে ১৩ জন ফায়ার কর্মীসহ ৫১ জন নিহত হন। এ সময় আহত হন অসংখ্য মানুষ। এ ঘটনার তিন দিন পর ৭ জুন সীতাকুণ্ড থানায় ডিপোর মালিকপক্ষকে বাদ দিয়ে আট কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আসামি করে মামলা হয়। সে সময় প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। পরে গত ২২ আগস্ট ডিপোর আংশিক এবং ৬ নভেম্বর পুরোপুরি খুলে দেওয়া হয়।

জানতে চাইলে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এস এস সফি উল্যা বলেন, ‘বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের মামলাটি এখনো তদন্তাধীন। এখনো নিহত কয়েকজনের ডিএনএ প্রতিবেদন আসেনি। আসামিরা জামিনে আছেন।’

মামলার আসামিরা হলেন বিএম কনটেইনার ডিপোর মহাব্যবস্থাপক নাজমুল আক্তার খান, উপমহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) নুরুল আক্তার খান, ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) খালেদুর রহমান, সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্বাস উল্যা, জ্যেষ্ঠ নির্বাহী (প্রশাসন) নাসির উদ্দিন, সহকারী ব্যবস্থাপক আবদুল আজিজ, ডিপোর শেড ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম ও সহকারী ডিপো ইনচার্জ নজরুল ইসলাম।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;