সীতাকুণ্ড পৌরসভা নির্বাচনে মেয়রসহ ১৩টি পদে প্রার্থী চূড়ান্ত বিএনপি’র, বেকায়দায় আওয়ামীলীগ

সীতাকুণ্ড পৌরসভা নির্বাচনে মেয়রসহ ১৩টি পদে প্রার্থী চূড়ান্ত বিএনপি’র, বেকায়দায় আওয়ামীলীগ
সীতাকুণ্ড পৌরসভা নির্বাচনে মেয়রসহ ১৩টি পদে প্রার্থী চূড়ান্ত বিএনপি’র, বেকায়দায় আওয়ামীলীগ

পোস্টকার্ড ডেস্ক।।

সীতাকুন্ড পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র-কাউন্সিলর উভয় পদে এককপ্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বিএনপি এবং নির্বাচনে নিজ নিজ প্রার্থীকে বিজয়ী করার পরিকল্পনাও শুরু করেছে। অন্যদিকে মেয়র পদে একক প্রার্থী নিশ্চিত করলেও কাউন্সিলর পদে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে অন্তত ৬ গুন বেশি আওয়ামীলীগ প্রার্থী নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে দলটি। তবে আগামী ৮ ডিসেম্বর একক প্রার্থী নিশ্চিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগও।

এদিকে ইতিমধ্যে অবৈধ ঘোষিত হওয়া নাগরিক কমিটির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম গতকাল (শনিবার) প্রার্থীতা ফিরে পেতে আপিল করেছেন। তবে এখনো আপিল করেননি কাউন্সিলর প্রার্থী মো. মফিজুল আলম।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৮ ডিসেম্বর সীতাকুন্ড পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ-বিএনপি ও জামায়াত নেতাকর্মী ও সমর্থক প্রার্থীরা বিভিন্ন পদ থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত হওয়ায় এবারের নির্বাচনটি অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে বিশ্বাস সংশ্লিষ্ট দলগুলোর। এ কারণে নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছে বিএনপি। শুধু তাই নয়, মেয়র ও কাউন্সিলর পদে নিজেদের জয় নিশ্চিত করতে তারা মেয়র, সংরক্ষিত ৩ ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর ও সাধারণ কাউন্সিলরের ৯টি ওয়ার্ডসহ মোট ১৩টি পদেই একক প্রার্থী নিশ্চিত করেছে।

অন্যদিকে মেয়র পদে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করলেও কাউন্সিলর পদে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে ৬-৭ গুন পর্যন্ত বেশি প্রার্থী থাকায় দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দিতে হিমসিম অবস্থা আওয়ামী লীগের। ক্ষমতাসীন এ দলটি থেকে ৯টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ৩টি সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন দাখিল করেছেন ৫৮জন নেতাকর্মী ও সমর্থক।

এদিকে বিএনপির একক প্রার্থীর বিপরীতে আওয়ামীলীগের এত বেশি প্রার্থী হলে নির্বাচনে আ. লীগ প্রার্থীদের ভরাডুবি হতে পারে এমন আশংকায় দলীয় নেতাকর্মীরা কাউন্সিলর পদেও বিএনপিকে মোকাবিলা করতে একক প্রার্থী নিশ্চিত করতে চায়। এ লক্ষে আওয়ামীলীগের ৫ সদস্যের একটি কমিটি প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে মনোনয়ন দাখিল করা প্রার্থীদের সাক্ষাতকার গ্রহণ করেছেন।

শনিবার সন্ধ্যায় সাক্ষাতকার পর্ব শেষ হওয়ায় এখন সাক্ষাতকারের ফলাফল এই কমিটি থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক এস.এম আল মামুনের কাছে প্রেরণ করবেন। তারাই সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় বিএনপি প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপযুক্ত প্রার্থী খুঁজে চূড়ান্ত করে মনোনয়ন প্রদান করবেন বলে জানা গেছে।

এদিকে বিএনপি দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করার পর এখন তাদের প্রার্থীদের সাথে আওয়ামীলীগের কোন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সেটি দেখতেই এখন উন্মুখ হয়ে আছে।

উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জহুরুল আলম জহুর বলেন, আমরা মেয়র, কাউন্সিললের (১৩টি পদে) প্রত্যেক পদেই একক প্রার্থী দিয়েছি। এখন আমরা চাই ইভিএম এর মাধ্যমে সরকার যে নির্বাচনের আয়োজন করেছে তা যেন অবাদ ও সুষ্ঠু হয়।

এদিকে মেয়র পদে একক প্রার্থী দিলেও অনেক প্রার্থীর কারণে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী দিতে সময় লাগবে জানিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া বলেন, আগামী ৮ ডিসেম্বর উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম.এ সালাম ও সাধারণ সম্পাদক মো. আতাউর রহমান আতা আসবেন সীতাকুন্ডে তাদের পরামর্শ অনুযায়ী দলীয় প্রার্থী নিশ্চিত করা হবে।

এদিকে গত ৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষিত হওয়া বিএনপি সমর্থক নাগরিক কমিটির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম গতকাল (শনিবার) প্রার্থীতা ফিরে পেতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে আপিল করেছেন। তবে এখনো মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষিত হওয়া কাউন্সিলর প্রার্থী মো. মফিজুল আলম কোন আবেদন করেননি।