সীতাকুণ্ডের ৭৭টি স্কুলের পতিত জায়গায় সবজির বাগান, শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস

সীতাকুণ্ডের ৭৭টি স্কুলের পতিত  জায়গায় সবজির বাগান, শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস
সীতাকুণ্ডের ৭৭টি স্কুলের পতিত জায়গায় সবজির বাগান, শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস

বিশেষ প্রতিবেদক।।

সবজির বাগান করা হচ্ছে সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন স্কুলের পতিত জায়গার উপর । সরকারি নির্দেশনা মেনে স্কুলের পতিত জায়গায় তারা সবজির আবাদ করছে। আর শিক্ষার্থীরা সবজির চারা যত্নের পাশাপাশি বাগানের শেডের মাটিতে থাকা ঘাস ও আগাছাগুলো পরিষ্কার করছে উচ্ছ্বাসের সাথে ।

জানা যায়, সীতাকুণ্ডের প্রতিটি স্কুলে পতিত জায়গায় চাষাবাদের নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। সেই নির্দেশনা মেনে উপজেলার ৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একযোগে সবজির চাষে নিযুক্ত হয়েছে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের ক্ষুদে প্রকৃতিপ্রেমী শিক্ষার্থীরা। একাধিক বিদ্যালয় পরিদর্শনকালে সবজি চাষের এই উৎসব পরিলক্ষিত হয়েছে।

উপজেলার গুলিয়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সাদেক মস্তান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, পতিত জায়গায় সবজি বাগানে রোপণ করা লাউ, টমেটো, মরিচ, বেগুন ও পেঁপে গাছে পানি দেওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত পরিচর্যা করছে খুদে শিক্ষার্থীরা।

পূর্ব সৈয়দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফারিয়া জানায়, বিদ্যালয়ের মাঠে সবজির আবাদে কাজ করতে পেরে তদের অনেক ভালো লাগছে এবং বেশ আনন্দিত। গাছে পানি দেয়ার পাশাপাশি মাটিতে থাকা আগাছাগুলো তারা নিজ হাতে পরিষ্কার করে।

বাড়বকুণ্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক খুরশিদ আলম বলেন, তারা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশনা অনুযায়ী বিদ্যালয়ের মাঠের পশ্চিম পাশের পতিত জায়গায় ৮টি শেড তৈরি করেছেন। আর তৈরি করা শেডগুলোতে লাগিয়েছেন লাউ, বেগুন, মরিচ ও পেঁপেসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নুরুচ্ছোপা জানান, সীতাকুণ্ডে ৯৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও ২১টি বিদ্যালয়ে পতিত কোনো জায়গা খালি নেই। তবে যে ৭৭টি বিদ্যালয়ের মাঠের পাশে পতিত জায়গা রয়েছে সেখানে গত বৃহস্পতিবার থেকে সবজির আবাদ শুরু করেছেন তারা। ইতিমধ্যে ৭৭টি বিদ্যালয়ের পতিত জায়গায় রোপণ করা হয়েছে শীতকালীন নানা ধরনের সবজি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ জানান, বিদ্যালয় আঙিনায় সবজির বাগান করতে তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের পাশাপাশি যে সব বীজ তাদের কাছে আছে তা দিয়ে সহায়তা করছেন। ইতিমধ্যে উপজেলার বেশ কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সবজির বীজ ও চারা বিতরণ করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.শাহাদাত হোসেন বলেন, বিদ্যালয় আঙিনায় সবজি বাগানে একদিকে যেমন পতিত জায়গা আবাদী জায়গায় পরিণত হবে, পাশাপাশি এসব সবজির চাষাবাদ দেখে ও শিখে শিক্ষার্থীরা নিজ বাড়ির আঙিনায় চাষাবাদ করতে উদ্বুদ্ধ হবে । অন্যদিকে আমাদের খুদে শিক্ষার্থীরা গাছ ও প্রকৃতিকে ভালোবাসতে শিখবে। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা নিজের পাশাপাশি দেশ ও দশের কল্যাণে ঝাঁপিয়ে পড়ুক।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;