সীতাকুন্ডে ছাত্রলীগ নেতার দখলে থাকা ৩০ কোটি টাকার জমি উদ্ধার

সীতাকুন্ডে ছাত্রলীগ নেতার দখলে থাকা ৩০ কোটি টাকার জমি উদ্ধার
সীতাকুন্ডে ছাত্রলীগ নেতার দখলে থাকা ৩০ কোটি টাকার জমি উদ্ধার

সীতাকুন্ড প্রতিনিধি ।। 

সীতাকুন্ডের ভাটিয়ারীর কদমরসুল সালেহ কার্পেট জুট মিলস্ এর পশ্চিম পাশে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারি খাস জায়গায় দুই একর পুকুর দখল করে রমজান আলী নামে এক ছাত্রলীগ নেতা দিন রাত পুকুর ভরাট করছিলো। পরে অজানা কারণে সড়ক ও জনপদ একটি নোটিশ দিয়ে তাদের দায় শেষ করেন। এরপর আরো বেপরোয়া হয়ে পড়েন এই ছাত্রলীগ নেতা। এসকেভটর দিয়ে তাড়াহুড়ো করে পুকুর ভরাট করে মার্কেট ও ট্রাক টার্মিনাল গড়ে তুলেন। পরবর্তীতে উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি আমলে নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার করে। 

সোমবার সকালে সীতাকুন্ড উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও নিবার্হী ম্যাজিট্রেট মো. শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে আরো উপস্থতি ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল আলম, ইউপি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন, ইউপি সদস্য আবদুর শুক্কুরসহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ।

জানা যায়, সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড কদমরসুল জাহানাবাদ এলাকায় মুন্সী মিয়ার পুত্র এবং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রমজান আলী কদমরসুল এলাকায় মহাসড়করে পাশে প্রায় দুই একর সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা (পুকুর) দখল করে মার্কেট ও টার্মিনাল নির্মাণ করেন। ভরাট করার সময় সে শতাধিক বহু বছরের পুরনো সরকারি বড় গাছ কেটে ফেলে। দখলের পর কিছু অংশে মার্কেট ও টার্মিনাল নির্মাণ করে ভাড়াটিয়ার কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা অগ্রিম নেন এবং মাসিক ভাড়াও আদায় করে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পর দখলকৃত জায়গা পূর্বের রকম ফিরিয়ে আনতে পুকুর খনন শুরু করেন উপজেলা প্রশাসন।

এ বিষয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও নিবার্হী ম্যাজিট্রেট মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, “রমজান আলী নামে এক ব্যক্তি সরকারি জমি দখল করে দীর্ঘদিন ধরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের দুই একর জায়গা দখল করেছে। জায়গার আনুমানিক মূল্য ৩০ কোটি টাকা। সরকারি জায়গাটিতে পুকুর ছিল, সে পুকুর ভরাট করে ঐ স্থানে মার্কেটসহ বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তুলে। দখল করার সময় সরকারি মূল্যবান গাছও সে কেটে ফেলে। অভিযান চালিয়ে পুরো জায়গাটি দখলমুক্ত কার হয়েছে। দশ দিনের মধ্যে ভাড়াটিয়াদের সকল মালামাল ও স্থাপনা নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। উচ্ছেদ পরবর্তী আমরা পূর্বের ন্যায় জায়গাটিতে পুকুর খনন করে দিব। এরপর পুরো জায়গা বুঝিয়ে দেওয়া হবে সড়ক ও জনপথ বিভাগকে।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;