সীতাকুন্ডে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়লেও কিনতে পারছে না স্থানীয়রা

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

সীতাকুন্ডে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়লেও  কিনতে পারছে না স্থানীয়রা
সীতাকুন্ডে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়লেও কিনতে পারছে না স্থানীয়রা
সীতাকুন্ডে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়লেও  কিনতে পারছে না স্থানীয়রা

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে হাজার হাজার ইলিশ। এ বছর মৌসুমের শুরু থেকেই উপজেলার বিভিন্ন ঘাটে জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। তবে উচ্চমূল্যের কারণে স্থানীয়দের ইলিশ কিনতে বেগ পেতে হচ্ছে।
সরেজমিন দেখা যায়, সীতাকুন্ডে বিভিন্ন হাট-বাজার ও গ্রাম-গঞ্জে ইলিশ আর ইলিশ। দৈনিক চার বার জোয়ার ও ভাটাকে ঘিরে মাছ ভর্তি নৌকা নিয়ে জমছে হাট। ছোট-বড় নানা আকৃতির মাছে ভরা নৌকাগুলো ভরে উঠতে থাকায় পরিশ্রমি জেলারা আনন্দে আত্মহারা। মাছের উৎসবে জেলে পরিবারগুলোতে যেন ঈদ-পূজার আনন্দ নেমে এসেছে।

কুমিরা ইউনিয়নের জেলে প্রদীপ জলদাশ বলেন, এ মৌসুমটা হলো জেলেদের দুঃখ-কষ্ট গোছানের সময়। এ সময় সমুদ্রে ধরা পড়ে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। আর ইলিশেই গোছে জেলেদের দারিদ্র।

লতিফপুর ঘাটে ইলিশ কিনতে আসা ইমন জানান, নদীতে এসেও আমরা ইলিশ কিনতে পাচ্ছি না। ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যবসায়ীরা এসে চড়া ধামে ইলিশ কিনে নিয়ে যাচ্ছে। ফলে আমাদের বাজার থেকে বেশি মূল্য দিয়ে মাছ কিনতে হচ্ছে। দাদনদাররা মাছ নিয়ে যাওয়ায় খুচরা ব্যবসায়ীরা মাছ কিনতে পারছে না। ফলে স্থানীয় বাজারগুলোতে মাছের দাম আঁকাশ ছোঁয়া।

পৌরসদর বাজারের ক্রেতা জাহাঙ্গীর আলম জানান, এলাকার চাহিদা পূরণ না করে বিদেশসহ শহর অঞ্চলগুলোতে মাছ চলে যাচ্ছে। পরিবারের লোকজনকে নিয়ে একটি স্বাদের ইলিশ যে কিনে খাব তার উপায় নেই।

সীতাকুন্ড ফকিরহাট বাজারে মাছ কিনতে এসে সানজিদা জানান, বড় ইলিশগুলোর দাম এক হাজারের ওপরে কেজি। আর কেজিতে দুইটি এমন ইলিশ প্রতি কেজি পাঁচ থেকে ছয়শত টাকা।

সীতাকুন্ড উপজেলা মৎস্য অফিসের হিসাব অনুযায়ী, গত বছর  ১২৫৪ মেট্রিক টন ইলিশ ধরা পড়ে সীতাকুন্ড সদ্বীপ চ্যানেলে। গত বছরের তুলনায় এ বছর ইলিশ বেশি ধরা পড়বে বলে আশা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার।