সীতাকুন্ড ভাটিয়ারী সিজিএস কমিউনিটি স্কুলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

সীতাকুন্ড ভাটিয়ারী সিজিএস কমিউনিটি স্কুলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
সীতাকুন্ড ভাটিয়ারী সিজিএস কমিউনিটি স্কুলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

 

সমাজের সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে চিটাগাং গ্রামার স্কুল পরিচালিত ও  প্রতিষ্ঠিত সিজিএস কমিউনিটি স্কুলের ৮ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

এ উপলক্ষে শনিবার (২৫ জানুয়ারী) সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী বিএমএ এলাকায় ক্যাম্পাসে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়।

সিজিএস কমিউনিটি স্কুল, এনসি ক্যাম্পাসের সহকারী প্রধান শিক্ষিকা সোমা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চিটাগাং গ্রামার স্কুলের এইচ আর ও একাউন্টস ডিপার্টমেন্টের প্রধান হামিদা খান মনি।

এতে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সীতাকুণ্ড অনলাইন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন এর সভাপতি সাংবাদিক মো. জাহাঙ্গীর আলম। চিটাগাং গ্রামার স্কুল, মিডল ক্যাম্পাসের শিক্ষিকা হাবিবুন নেছা’র উপস্থাপনায় অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক মামুনুর রশিদ (মামুন)।

জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে এই অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।

 

 

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চিটাগাং গ্রামার স্কুলের এইচ আর ও একাউন্টস ডিপার্টমেন্টের প্রধান হামিদা খান মনি ২০১২ সাল থেকে শুরু হওয়া এই কমিউনিটি বিদ্যালয়ের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করেন এবং সাথে সাথে সিজিএস কমিউনিটি স্কুলের ভবিষ্যত স্বপ্ন ও কার্যক্রমও তুলে ধরেন।

সিজিএস কমিউনিটি স্কুল ভাটিয়ারী ক্যাম্পাসে প্রায় ১৪৫ জন শিক্ষার্থীর উৎসাহী পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে দিনটি।

উল্লেখ্য, সিজিএস কমিউনিটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য পরিচালকগণ এই দিনে হাইজিন প্যাক উপহার দেন। তাছাড়াও এই স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য চিটাগাং গ্রামার স্কুলের পরিচালকগণ প্রতিবছর বই-খাতা, স্কুল ইউনিফর্ম, ব্যাগ, স্টেশনারি, জুতো-মোজা, ঈদের পোশাক এবং প্রতিদিন টিফিনে দুধ, কলা, ডিম দিয়ে থাকেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।

চিটাগাং গ্রামার স্কুল এর স্কুল ড্রেস এর ন্যায় কমিউনিটি স্কুলের শিক্ষার্থীদেরও দেওয়া হয় একই স্কুল ড্রেস। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য মানসম্মত শিক্ষার এ যেন অনন্য শিক্ষাঙ্গন।

 

উল্লেখ্য যে, ২০১২ সনে মাত্র ১৮ জন শিক্ষার্থী নিয়ে সিজিএম কমিউনিটি স্কুলের যাত্রা শুরু হয় যা বর্তমানে ৬টি প্রতিষ্ঠানে এগারো শাতাধিক শিক্ষার্থী প্রতিদিন স্কুল প্রাঙ্গন মূখর করে তুলছে। আর এই মহৎকাজ সম্পন্ন করার জন্য যারা নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন তারা হলেন মহৎপ্রান শিক্ষানুরাগী চিটাগ্রাং গ্রামার স্কুলের পরিচালক মিসেস ফারহাত খান, মিসেস শিরিন ইস্পাহানী ও প্রয়াত বিলকিস ইকবাল।

এসময় বক্তারা বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে, সবার জন্য শিক্ষাকে নিশ্চিত করতে সিজিএস পিছিয়া পড়া শিশুদের যে অবৈতনিক শিক্ষা দিচ্ছে তা প্রশংসনীয়।