সীতাকুন্ডের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি হাসপাতাল কর্মচারীদের বেতন বাড়ানোর দাবীতে আন্দোলন

সীতাকুন্ডের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি হাসপাতাল কর্মচারীদের  বেতন বাড়ানোর দাবীতে আন্দোলন

সীতাকুন্ড প্রতিনিধি ।।

দেশে যখন করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে সেই সময় চট্টগ্রামের করোনা পরীক্ষার একমাত্র ল্যাব  সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাটে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) হাসপাতালের কর্মচারীরা বেতন বাড়ানোসহ বেশ কয়েকটি দাবীতে আন্দোলনে নেমেছেন।

সকাল ৮ টা থেকে তারা কাজে যোগ না দিয়ে আন্দোলনে নামে।

তারা বলেন, এই হাসপাতালে চট্টগ্রাম বিভাগের সন্দেহভাজন রোগীদের করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা করা হয়। আমরা প্রতি মূহুর্তে এখানে করোনা ভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে। হাসপাতালে যেকোন রোগী আসলে আগে আমাদের কাছে আসে। কোনটা করোনা ভাইরাসের কোনটা সাধারণ রোগী তা বুঝা যায়না। অথচ করোনা ভাইরাস সংক্রমন থেকে নিজেকে রক্ষা করতে আমাদেরকে কর্তৃপক্ষ থেকে পিপিই দেওয়া হয়নি।

এছাড়া দীর্ঘদিন পর্যন্ত আমাদের বেতন বাড়ছে না। সরকার তাঁদের জন্য ঠিকাদারকে প্রতি মাসে ১৬ হাজার ৫০ টাকা বেতন দেয়। কিন্তু তাঁরা পান ৯ হাজার ৫০০ টাকা। এতে তাঁদের জীবন চলে না। এখন তাঁদের দায়িত্ব ও ঝুঁকি দুটোই বেড়েছে। কিন্তু বাড়েনি তাঁদের বেতনসহ সুযোগ সুবিধা।

রোববার সকালে কর্মচারীরা সকালে হাসপাতালের পরিচালক এম এ হাসান চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেন। পরে তিনি তাঁদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলন ছেড়ে কাজে যোগ দেন কর্মচারীরা।

উল্লেখ্য যে, বিআইডিআইটি হাসপাতালে মোট ৫০ জন ওয়ার্ডবয়, ক্লিনার ও অফিস সহায়ক হিসেবে কাজ করেন। তাঁদের সবাই এসএস সিকিউরিটি সার্ভিস নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে নিয়োগ পাওয়া।

এব্যাপারে অধ্যাপক এম এ হাসান চৌধুরী বলেন, কর্মচারীরা তাদের সমস্যার কথা কখনো আমাকে জানাননি। আজ সকালে কর্মচারীরা তাঁর কাছে আসার পর বেতনের বিষয়টি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

কর্মচারীদের অন্যান্য দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, হাসপাতালের একটি আলাদা ইউনিটে করোনা রোগীদের চিকিৎসা করা হয়। সেখানে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের পিপিই রয়েছে। কিন্তু সাধারণ রোগীদের ইউনিটের সবাই পিপিইর দাবি করছেন।

ঝুঁকি বুঝে পিপিই দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

এ ছাড়া যাঁরা করোনা ইউনিটে কাজ করছেন, তাঁরা সাত দিন কাজের পর হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার ছুটি পাবেন।

এখানে যেহেতু করোনা সংক্রামন শনাক্ত করতে রোগীরা আসেন সেহেতু কর্মচারীরাও ঝুকি মুক্ত নয়। তাদের ঝুঁকির কথা চিন্তা করে পিপিই দেওয়া প্রয়োজন।