সীমা স্টিলের কর্মরত করোনা আক্রান্ত শ্রমিক দীর্ঘদিন অনুপস্থিতিজনিত ছুটিতে ছিল

সীমা স্টিলের কর্মরত করোনা আক্রান্ত  শ্রমিক দীর্ঘদিন অনুপস্থিতিজনিত ছুটিতে ছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।  

সম্প্রতি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বানুরবাজারে সীমা স্টিল রি-রোলিং মিল লিমিটেডে (এসএআরএম) কর্মরত একজন শ্রমিকের করোনা শনাক্ত হওয়া ঘটনাকে কেন্দ্র করে উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানা যায়, উক্ত শ্রমিক দীর্ঘদিন কাজে অনুপস্থিতি থাকার কারণে সম্প্রতি তাকে চার্জশীট দেয়া হলে সে জানায় তার অসুস্থতার কথা এবং সে দীর্ঘদিন অনুপস্থিতিজনিত ছুটিতে ছিল।

রোববার (১০ মে) সীমা স্টিল রি-রোলিং মিলে কর্মরত এক শ্রমিকের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। উপজেলা প্রশাসন সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী কলেজ রোড এলাকায় ওই শ্রমিকের বাসা লকডাউন করেছে। যেহেতু সে দীর্ঘদিন কাজে অনুপস্থিত ছিল সুতরাং অন্য কোন শ্রমিকের সংস্পর্শে আসেনি। আর সে কারণে   শ্রমিকদের কাউকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠায়নি প্রশাসন।

এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড উপজেলা করোনা বিস্তার রোধ ও প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন রায় বলেন, ‘বিধি মোতাবেক উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পরামর্শে আমরা আক্রান্ত ব্যক্তির বাসস্থান লকডাউন করেছি।’

সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন বলেন, ‘আক্রান্ত ব্যক্তি গত একসপ্তাহ বাসায় অবস্থান করেছেন। বাসায় থেকেই তিনি করোনা পরীক্ষার জন্য নমূনা দিয়েছেন। রিপোর্ট পজিটিভ আসায় আমরা তার বাসা লকডাউন করেছি। পরিবারের সদস্যদের শরীরের নমূনা সংগ্রহ করা হবে।’

সীমা স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক কামাল উদ্দিন বলেন, করোনা যেহেতু ছোঁয়াছে রোগ আমরা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি ।প্রশাসনিক পদক্ষেপ ছাড়াও আমাদের অন্যান্য স্টাফদের নিরাপদ ও সুস্থ থাকার বিষয়টিও আছে। আক্রান্ত স্টাফ ছুটিতে থাকার কারণে কারও সংস্পর্শে  আসেনি আমরা এই বিষয়টি ইতিমধ্যে প্রশাসনকে জানিয়েছি এবং ইতিমধ্যে উক্ত শ্রমিকের নথিপত্র যাচাই করে গেছেন প্রশাসন ।

সীমা স্টীলের পরিচালক পারভেজ উদ্দীন সান্টু নিজেদের শ্রমিক করোনা শনাক্ত হওয়া বিষয়ে জানান, আপনারা হয়তো ইতিমধ্যে জেনেছেন এই শ্রমিক দীর্ঘদিন কাজে অনুপস্থিতিজনিত ছুটি ভোগ করছেন সুতরাং আমরা যখন জেনেছি তখন আমার শ্রমিক হিসেবে দায়িত্ব নিতে পারবো কিন্তু দায়তো নিতে পারিনা । তাছাড়া বাংলাদেশে যে সমস্ত করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে তারা কোননা কোন পেশায় জড়িত । তাহলে কি সেই আক্রান্ত ব্যক্তি যে কোম্পানির সাথে জড়িত সেই কোম্পানী দায়ী হবেন।

তিনি আরো জানান, সীমা স্টিল ১৯৯১ সাল থেকে জাহাজ ভাঙা দিয়ে শুরু করে কোম্পানির ব্যবসা এবং ২০০৩ সাল থেকে ইস্পাত পণ্য রড উৎপাদনে যুক্ত হয় সীমা অটোমেটিক রি-রোলিং মিলস লিঃ। কোম্পানী প্রতিবছর সরকারকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব দিয়ে আসছে। তাছাড়া আমরা শ্রমিকের যথেষ্ট মূল্যায়ন করি ।

তিনি বলেন, শ্রমিকদের সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরন করে কারখানা চালু করতে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরন, থার্মাল স্কানারে তাপমাত্রা পরিমাপ, হ্যান্ড স্যানিটেশন ব্যবস্থা গ্রহন, জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত । স্বাস্থ্যবিধি অনুসরন করে কারখানা চালু আছে। এতে দুই হাজারের বেশী শ্রমিক নিশ্চিন্তে কাজ করতে পারবে বলে আমরা আশা করছি।