তেলের দাম বৃদ্ধি , গাড়ী শুন্য ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
বিশেষ প্রতিবেদক ।।
হঠাৎ করে পেট্রল, ডিজেল, অকটেনের মূল্য বৃদ্ধির কারণে দেশের লাইফ লাইন হিসেবে পরিচিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল অনেকটা শুন্য হয়ে পড়েছে। হালকা কয়েকটা চললে বাড়া নিয়ে যাত্রীদের সাথে বাক বিতর্ক, হাতাহাতি হচ্ছে ।
আজ শনিবার (৬ আগস্ট) সকাল থেকে দূরপাল্লা ও আঞ্চলিক রুটে গণপরিবহন কম চলালের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন কর্মস্থলমুখী স্বল্প আয়ের মানুষদের। নামমাত্র কয়েকটি বাস চলাচল করতে দেখা গেলেও যাত্রীদের ভাড়া গুণতে হচ্ছে বেশি ৷ চট্টগ্রাম থেকে সীতাকুন্ড ৪০ টাকার স্হলে ৭০/৮০ টাকা গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। ৮ নং বাসগুলো অলংকার থেকে সীতাকুন্ড ছিল ৪০ টাকা যা বেড়ে গিয়ে এখন ৭০/৮০ টাকা।
বাড়ার চেয়ে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গাড়ীর বেশী,রোডে গাড়ী নেই বললেই চলে, মাঝে মধ্যে দু’একটি লোকাল ও দূরপাল্লার বাস চলাচল করলেও প্রয়োজনের তুলানায় তা একেবারে কম।
শনিবার সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দেখা গেছে, অন্য দিনের তুলনায় বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরি, পিকআপসহ সব ধরনের যান অনেক কম চলাচল করছে। বারইয়ারহাট-মাদারবাড়ি রুটে চলাচল করা চয়েস, উত্তরা বাস, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলাচল করা বিভিন্ন চেয়ারকোচ ও আন্তঃজেলার বিভিন্ন বাসও খুব বেশি চোখে পড়েনি।
চট্টগ্রাম শহরে যাওয়ার জন্য সীতাকুন্ড, বড়দারোগাহাট বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষা করা চাকরিজীবীদের ভীড় ছিল চোখে পড়ার মতো। দুঘন্টা অপেক্ষা করেও এখনো বাসে উঠতে পারিনি অনেক যাত্রী। দু’একটি বাস এলেও খুব ভিড়, এখানে দাঁড়াচ্ছে না। গত রাতে হটাৎ করে জ্বালানির মূল্য বেড়ে যাওয়ায় গণপরিবহন চলাচল কমে গেছে।
মহাসড়কের বড়দারোগাহাটসহ সব স্ট্যান্ডে কর্মস্থলমুখী মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া বারইয়ারহাট-বড়দারোগাহাট, সীতাকুন্ড অলংকার রুটে চলাচল করা উত্তরা,লেগুনা, সেইফ লাইন পরিবহনের গাড়ি চলাচলও অনেক কমে গেছে।
সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক অলি আহমদ এব্যাপারে প্রতিনিধিকে বলেন, আমরা সাংগঠনিকভাবে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখতে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিনি। জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় মালিকরা গাড়ি বন্ধ করে দিয়েছে। তাদেরও কী করার আছে? লিটারে এক-দুই টাকা বাড়লে একটা কথা ছিলো। এভাবে ৩৪-৪৬ টাকা লিটার প্রতি বেড়েছে। মালিকরা তো লোকসান দিয়ে গাড়ি চালাবে না।
তিনি আরো বলেন, তেলের দাম অনেকবারই বেড়েছে তবে এমন অতিমাত্রা কখনো বাড়েনি, এইটা স্বল্প আয়ের মানুষ মরার নমুনা দেখছি, আর চালক হেল্পারের সাথে যাত্রীদের প্রতিদিন মারামারির একটা ইস্যু মনে হচ্ছে।
খালেদ / পোস্টকার্ড ;
