১০ হাজার শ্রমিক আছেন চট্টগ্রামের ৭টি পাটকলে, মিল বন্ধের নোটিশ দেখে পাটকল শ্রমিকরা কান্নায় ভেঙে পড়লেন

১০ হাজার শ্রমিক আছেন চট্টগ্রামের ৭টি পাটকলে, মিল বন্ধের নোটিশ দেখে পাটকল শ্রমিকরা কান্নায় ভেঙে পড়লেন

বিশেষ প্রতিবেদক ।।

চট্টগ্রামের ৭টি পাটকল সরকারি সিদ্ধান্তে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এগুলো সংস্কার এবং রক্ষণাবেক্ষণ করে পরবর্তীতে আবারো চালু করা হবে। চট্টগ্রামের উক্ত ৭টি পাটকলে ১০ হাজারেরও বেশি শ্রমিক রয়েছেন। যাদেরকে শতভাগ পাওনা বুঝিয়ে দিয়ে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে অবসর দেয়া হবে। তবে পরবর্তীতে কারখানাগুলো নতুন করে চালু করার সময় শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে বর্তমানে যারা অবসরে যাচ্ছেন তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

সূত্র বলেছে, চট্টগ্রামের আমিন জুট মিল, হাফিজ জুট মিল এবং গুল আহমদ জুট মিলে ছয় হাজারেরও বেশি শ্রমিক রয়েছে। এর বাইরে এম এম জুট মিল, আর আর জুট মিল, কর্ণফুলী জুট মিল, মিল ফার্নেসিং এবং বিডিসিএফ নামের অপর চারটি মিলে চার হাজারের মতো শ্রমিক রয়েছে।

দেশের সর্বমোট ২৫টি পাটকলের শ্রমিকদের শতভাগ পাওয়া বুঝিয়ে দিয়ে অবসর দেয়া হচ্ছে। চট্টগ্রামের সাতটি মিলের দশ হাজারেরও বেশি শ্রমিকের অবসরকালীন যাবতীয় সুুযোগ সুবিধা এসব শ্রমিকদের এককালীন দিয়ে দেয়া হবে। তবে শ্রমিকদের পাওনার পঞ্চাশ শতাংশ ব্যাংকে নগদ এবং পঞ্চাশ শতাংশ পারিবারিক সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে প্রদান করা হচ্ছে।

মিল বন্ধের নোটিশ দেখে পাটকল শ্রমিকরা কান্নায় ভেঙে পড়লেন

পাটকলের গেটে মিল বন্ধের নোটিশ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন শ্রমিকরা। এ সময় সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।  মন্ত্রণালয়ের সচিব স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন টাঙানো হয় প্রতিটি মিলগেটে। ১ জুলাই থেকে বন্ধের কথা জানানো হয় ওই নোটিশে।

এদিকে, মিল বন্ধের প্রজ্ঞাপন টাঙানোর আগে গত বুধবার রাত থেকে  ব্যাপক পুলিশ ও সাঁজোয়া যান মোতায়েন করা হয়।

বিজেএমসির খুলনা আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বনিজ উদ্দীন মিয়া জানান, পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সচিব স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপন তাঁরা হাতে পেয়েছেন। ওই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিজেএমসির সচিব স্ব-স্ব মিলের প্রকল্পপ্রধানকে নির্দেশ দিয়েছেন। সে অনুযায়ী, ১ জুলাই থেকে খুলনা অঞ্চলের ৯টি পাটকলের শ্রমিকদের অবসর এবং মিলে উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।সরকারের পরবর্তী সিদ্ধান্ত না পাওয়া পর্যন্ত মিলের সাইরেন বন্ধ থাকবে বলেও জানান তিনি।