পোস্তগোলা শ্মশানঘাট ট্রাক স্ট্যান্ড থেকে প্রতিমাসে অবৈধভাবে লক্ষলক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে রেজাউল করিম খোকন

পোস্তগোলা শ্মশানঘাট ট্রাক স্ট্যান্ড থেকে প্রতিমাসে অবৈধভাবে লক্ষলক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে রেজাউল করিম খোকন
পোস্তগোলা শ্মশানঘাট ট্রাক স্ট্যান্ড থেকে প্রতিমাসে অবৈধভাবে লক্ষলক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে রেজাউল করিম খোকন

বিশেষ প্রতিবেদক, ঢাকা।।

পোস্তগোলা আন্তজেলা উপকমিটির সভাপতি রেজাউল করিম খোকন ১৫ বছর ধরে অবৈধ ভাবে এই স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি করে আসছে। এই স্ট্যান্ড ৪৭   ও ৫৪ নং ওয়ার্ড এর আওতাধীন।এই স্ট্যান্ড এর জায়গা টি সিটি কর্পোরশন এর কাছ থেকে ডাক এনেছে একটি কোম্পানি।তারপরেও ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ ভাবে প্রতিদিন শতাধিক গাড়ির মালিক ও ড্রাইভারদের কাছ থেকে ২০০-৪০০ টাকা পর্যন্ত জোড় করে আদায় করে নিয়ে থাকে।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে কয়েকজন গাড়ির মালিক ও ড্রাইভার জানান, তারা যদি টাকা না দেন নেতা খোকন তাদের গাড়ির স্ট্যান্ড এ আটকিয়ে রাখে,অনেক খারাপ ভাষায় গালাগালি করে এবং, ভীতি প্রদর্শন করে । তারা সকলেই প্রশাসন ও এলাকার জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষন ও সহযোগিতা কামনা করছেন।

স্ট্যান্ড এর একজন  গাড়ির মালিক রনি  জানান, মাসে যদি গাড়ি থেকে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করি তাহলে খোকন ভাই কে দিতে হয় মাসে ৫-১০ হাজার টাকা। আমরা সবাই খোকন সাহেব এর দ্বারা নির্যাতিত।

অন্য এক ট্রাক ড্রাইভার রফিক মোল্লা  জানান, এইসব হিসেব এর জন্য খোকন সাহেব কে সকল ড্রাইভার জিজ্ঞেস করলে খোকন সাহেব জানান আমি আর ২ মাস খাবো তারপর ছেড়ে দিবো কিন্তু ৫ বছর হয়ে গেলো।তারপর একদিন রফিক কে খোকন গুলি করার হমকি দেন।

স্থানীয় ড্রাইভারদের সাথে কথা বলে জানা যায় , আন্তজেলার চাঁদা হচ্ছে ৩০ টাকা। যা বৃদ্ধ ও পঙ্গু ড্রাইভারদের কল্যাণার্থে ব্যবহার করার জন্যে তোলার কথা।  খোকন সাহেব কোনোদিন ড্রাইভার ছিলেন না। তিনি ক্ষমতার জোরে আন্তজেলার সভাপতি পদ নিয়ে আসেন আর ৩০ টাকার জায়গায় ২০০-৫০০ টাকা নিয়ে থাকেন। প্রতিদিন আবুল ও মনির নামের ২ জনকে দিয়ে টাকা উঠিয়ে থাকেন। এই অবৈধ টাকা দিয়ে টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছেন নেতা খোকন। স্ট্যান্ড এর সকল গাড়ির মালিক ও ড্রাইভারদের একটাই দাবি এই চাঁদাবাজ খোকন এর হাত থেকে তারা মুক্তি চান। তারা আরও বলেন প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সাহায্য কামনা করছি তারা সবাই আমাদের কথা যাচাই করে খোকন সাহেব কে আইনের আওতায় আনুক। 

নজির নামের স্ট্যান্ড এর এক নেতা, সে একজন গাড়ির মালিক ও ড্রাইভার। তিনি আমাদের কাছে তথ্য দেন যে “আমরা আগে খোকন মিয়ার লগে আছিলাম, তার মতো লোভী নেতা জীবনে দেখি নাই,৩০ টাকার চাঁদার জায়গায় ২০০-৩০০-৪০০ টাকা উঠায়। এতে আমাদের ও বদনাম হয় তাই আমরা সইরা গেছি, পঙ্গু আর বয়স্ক ড্রাইভারগো খবর-ও নেয় না, স্ট্যান্ড থেকা চাঁদা উঠাইয়া খোকন মিয়া নিজে গাড়ি বাড়ি কিনে। হারাম টাকার অভাব নাই তার, আমরা আগে হিসাব চাইলে ধমক দিতো আমাদের। কোনোদিন ও হিসাব পাই নাই, তাই আমরা নাকগালাই না, উনি টাকা উঠায়, হারাম টাকা একাই খায়, ১৫-২০ বছর ধইরা দেখতাছি ওনারে৷ আগে দেখতাম বিএন পি করতো এখন তার পদ বাঁচানোর লেইগা আওয়ামলীগ করে। আমাদের অনেক ড্রাইভার এর কাছ থেকেও টাকা হাওলাদ নিছে আর ফেরত দেয় নাই, আমাদের পোস্তগোলায়  খোকন মিয়ার মতো শয়তানি বুদ্ধি আর কারো নাই।

খোকন মিয়ার বাপ এর নাম ফকির মহাজন। তার কাছ থেকাও অনেক মানুষ টাকা পাইতো, কোনোদিন ফেরত দেয় নাই। এখন খোকন মিয়ার কাছ থেকেও অনেক মানুষ টাকা পায় টাকা ফেরত চাইলে গালাগালি করে।

দীপু / খালেদ / পোস্টকার্ড ;