আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর নির্মাণ ও ত্রাণ দেওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর নির্মাণ ও ত্রাণ দেওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর নির্মাণ ও ত্রাণ দেওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

বৃহস্পতিবার থেকেই ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর নির্মাণ, অর্থ ও ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন জানান, প্রধানমন্ত্রী প্রতিমুহূর্তে তথ্য নিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার থেকেই ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর নির্মাণ, অর্থ ও ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, একটি মানুষও না খেয়ে থাকবে না। একটি মানুষও গৃহহীন হয়ে থাকবে না। যারাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদেরকে ঘর নির্মাণ, অর্থ ও ত্রাণ সহায়তা দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ঈদের ছুটির মধ্যেও অফিসের সবাই সক্রিয় থাকবেন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। করোনা এবং ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি একই সঙ্গে পর্যবেক্ষণ ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সব জেলা উপজেলা কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সব মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার জন্য। একই সঙ্গে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ করে ত্রাণ বিতরণের কাজ শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই। এর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, বিদ্যুৎ লাইন মেরামত কৃষি ও গবাদি পশুর ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ, সড়ক বাঁধ ও ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজও চলছে। তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে প্রধামন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব ও পরিচালকরা ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ শুরু করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ঈদের ছুটির সময়ও সক্রিয় থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।

সচিব আরও জানান, লকডাউন পরিস্থিতে সরকারি ছুটির দিনেও সবসময় খোলা ছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। অনলাইন এবং অফলাইনে নিয়মিত ফাইল দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী এবং সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দিচ্ছেন। এ ছাড়া মন্ত্রিসভা, একনেক, বাজেট, ৬৪ জেলার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নিয়মিত সভা, সর্বশেষ বুধবার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

তোফাজ্জল হোসেন মিয়া জানান, সকাল থেকেই সচিব ও পরিচালকরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে সমন্বয় করে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ শুরু করেছেন। বিশেষ করে গত দুদিন ধরেই উপকূলীয় এলাকার লোকজনদের নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া, তাদের খাবার ব্যবস্থা করা, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা, চিকিৎসা কার্যক্রম চালু রাখার জন্য ব্যস্ত সময় পার করেছেন।