এক বিপজ্জনক চলচ্চিত্র ‘জোকার’ !

এক বিপজ্জনক চলচ্চিত্র ‘জোকার’ !
এক বিপজ্জনক চলচ্চিত্র ‘জোকার’ !

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

এই যুগে পাইরেটেড মুভি ডাউনলোড করে দেখেন না এমন মুভি প্রেমী খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ব্যাপারটা এমন যেন হাতের কাছে ফ্রি থাকতে কেন আমি অর্থ খরচ করে মুভি দেখবো! কিন্তু এই অনলাইন মুভি নামানোটা কতটা নিরাপদ?

সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অনলাইনে মুভি ডাউনলোডের সাইটগুলোর ওপর নির্ভর করা যায় না, কারণ এতে ম্যালওয়্যার বা ভাইরাস ভরা থাকে। ক্যাসপারস্কির গবেষকদের বরাতে ফোর্বসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্কার মনোনীত ছবি ডাউনলোডের ক্ষেত্রে ৯২৫টি ম্যালওয়্যার খুঁজে পেয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের কাছে সবচেয়ে বিপজ্জনক চলচ্চিত্রটির নাম ‘জোকার’।

ফোর্বসের প্রতিবেদন অনুসারে, ক্যাসপারস্কি অস্কার মনোনীত ছবিগুলোয় যে ৯২৫টি ম্যালওয়্যারের সন্ধান পেয়েছে, তার মধ্যে ৩০৪টি ম্যালওয়্যার পাওয়া গেছে ‘জোকার’ ছবিটিতে। বিপজ্জনক চলচ্চিত্র হিসেবে তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বেনেডিক্ট কামবারব্যাচ অভিনীত ‘১৯১৭’। এতে ম্যালওয়্যার পাওয়া গেছে ২১৫টি। মার্টিন স্করসিস পরিচালিত ‘দ্য আইরিশম্যান’ রয়েছে তালিকার তৃতীয় অবস্থানে। এতে রয়েছে ১৭৯টি ক্ষতিকর ফাইল।

যারা অনলাইনে অবিশ্বস্ত সূত্র থেকে এ ছবিগুলো ডাউনলোড করবেন বা দেখবেন, তাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে ক্যাসপারস্কির গবেষকেরা। এসব ছবির ফাইলে যেসব ক্ষতিকর লিংকে রয়েছে, তাতে কোনোভাবে ক্লিক করা হলে তা ডিভাইসের ক্ষতি করতে পারে। অনলাইনে মুভি ডাউনলোড করার বিষয়ে ক্যাসপারস্কির গবেষকেরা কয়েকটি নিরাপত্তা পরামর্শও দিয়েছেন।

গবেষকেরা বলেছেন, অনলাইন থেকে মুভি ডাউনলোড করার আগে অস্কার মনোনীত ছবিগুলোর মুক্তি তারিখ অবশ্যই দেখে নেবেন। যেসব লিংকে ছবির আগাম প্রিভিউ দেখার কথা বলা হয়, তাতে ক্লিক করবেন না। সাধারণত মুভি ডাউনলোডের ক্ষেত্রে .avi, .mkv বা .mp4 এক্সটেনশন থাকে। তবে যেসব মুভির ক্ষেত্রে .exe ফাইল থাকবে, সেগুলো ডাউনলোড করবেন না। যেসব সাইট থেকে মুভি ডাউনলোড করছেন, তা বিশ্বাসযোগ্য কি না দেখার পাশাপাশি ইউআরএল ফর‌ম্যাট ও কোম্পানির নামের বানানগুলো দেখে নিতে হবে।