খালেদা জিয়াকে শিগগিরই মুক্ত করবোই: মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারকে বাধ্য করবো খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে জনগনের অধিকারকে ফিরিয়ে দিতে। একটাই কথা শিগগিরই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবোই। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব ফখরুল বলেন, আমরা আন্দোলন করেছি, নির্বাচন করেছি। এবার খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব। সরকার গণতান্ত্রিক চেতনাকে ধ্বংস করেছে। বিচারবিভাগ বলে কিছু আছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ হয়।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন খালেদা জিয়া। গত বছরের ১লা এপ্রিল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে তিনি বন্দী অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। আজ (শনিবার) বিএনপি চেয়ারপারসনের কারাবাসের দুই বছর পূর্ণ হলো। এ উপলক্ষ্যে তার মুক্তির দাবিতে সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। সমাবেশ শুরু হওয়ার প্রায় তিন ঘণ্টা আগে থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেয় বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এসব মিছিল থেকে স্লোগান দেওয়া হয়। সমাবেশ শুরুর আগেই ফকিরাপুল থেকে নয়া পল্টনে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সমাবেশের প্রধান অতিথি ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
সমাবেশে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকারের পতন ও খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন একসূত্রে গাঁথা। যেভাবে নির্বাচনে মহানগরীর নেতাকর্মীরা নেমেছিল তেমনিভাবে সরকার পতন ও খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে রাজপথে নামতে হবে।
সভায় বক্তব্য স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমেদ, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ। অসুস্থতার জন্য উপস্থিত থেকেও বক্তব্য দেননি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
আরও বক্তব্য দেন ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ , মো. শাজাহান, শামসুজ্জামান দুদু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও নেতা-কর্মীরা।
