চট্টগ্রামে এক কেন্দ্রে জোয়ারের কোমর পানি , শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অনেকেই অংশ নিতে পারেননি

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

চট্টগ্রামে এক কেন্দ্রে জোয়ারের কোমর পানি , শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অনেকেই অংশ নিতে পারেননি
কেন্দ্রে জোয়ারের কোমর পানি , শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অনেকেই অংশ নিতে পারেননি

গতকাল শুক্রবার ছিল বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) অধীনে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা। সকালে অনুষ্ঠিত হয় স্কুল পর্যায়ের পরীক্ষা। কলেজ পর্যায়ের পরীক্ষার সময় নির্ধারিত ছিল বিকেল ৩টায়। সময়সূচি অনুযায়ী চট্টগ্রামের সকল কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তবে নগরীর আগ্রাবাদের একটি কেন্দ্রে বিকেলের কলেজ পর্যায়ের পরীক্ষায় অনেক পরীক্ষার্থী অংশ নিতে পারেননি। অনেকেই কেন্দ্রের সামনে থেকে ফিরে এসেছেন।
দুপুরের পর থেকে কোমর পানির কারণে কেন্দ্রে ঢুকতে না পারায় বিশেষ করে নারী পরীক্ষার্থীদের একটি অংশ পরীক্ষা না দিয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হন। জোয়ারের পানির কারণে আগ্রাবাদের হাতেখড়ি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
কেন্দ্রে গিয়েও ঢুকতে না পেরে ফিরে যাওয়া নিশাত নামের এক পরীক্ষার্থী বলেন, ৩টায় পরীক্ষা ছিল। আমি সোয়া ২টায় কেন্দ্রে যাই। তখন স্কুলের বাইরে হাঁটু পরিমাণ পানি। স্কুলের গেটের ভেতরে পানি ছিল কোমর সমান। রিকশা নিয়ে ঢুকতে গিয়ে একটি রিকশা উল্টে যায়। এরপর রিকশা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কোমর পানি ভেঙে পুরুষ পরীক্ষার্থীরা কোনোরকমে ঢুকতে পারলেও মহিলাদের পক্ষে ঢোকা কঠিন ছিল। আরো কয়েকজনসহ আমরা সোয়া ৩টা পর্যন্ত সেখানে অপেক্ষা করেছি। কিন্তু পানি না কমায় ভেতরে ঢুকতে পারিনি। তাই পরীক্ষা না দিয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছি। ভবিষ্যতে পরীক্ষা কেন্দ্র নির্বাচন করার ক্ষেত্রে সার্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে কেন্দ্র চূড়ান্ত করার দাবি জানান ওই পরীক্ষার্থীর বাবা শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, আশা করি, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে।
ওই কেন্দ্রে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ায় পরীক্ষার্থীদের অনেক কষ্ট হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আবু হাসান সিদ্দিক। বিষয়টি এরই মধ্যে এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, পরবর্তীতে এ প্রতিষ্ঠানটি কেন্দ্র হিসেবে না রাখতে সুপারিশ করেছি। বলেছি, নিবন্ধন ও জেএসসি পরীক্ষাসহ অন্যান্য পরীক্ষায়ও যাতে এটি কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচন করা না হয়। অফিস খোলার দিনে সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষ বরাবর এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গতকাল অনুষ্ঠিত ১৬তম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় চট্টগ্রামে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৫৯ হাজার ৩০৬ জন। এর মধ্যে স্কুল পর্যায়ে পরীক্ষার্থী ছিল ৩৬ হাজার ১১৬ জন। কলেজ পর্যায়ে পরীক্ষার্থী ছিল ২৩ হাজার ১৯০ জন। নগরীর ৩১টি কেন্দ্রে স্কুল পর্যায়ের এবং ২০টি কেন্দ্রে কলেজ পর্যায়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে জেএমএসন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ৮ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। - আজাদী