চট্টগ্রামে পরিবহন ব্যবস্হায় চরম নৈরাজ্য

চট্টগ্রামে পরিবহন ব্যবস্হায় চরম নৈরাজ্য

মুহাম্মদ ইউসুফ খাঁন,চট্টগ্রাম।।

১৩ই আগস্ট-২০২০ ইং বৃহস্পতিবার অফিস ছুটির পর থেকে চট্টগ্রামস্হ মাদারবাড়ী শুভপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে সীতাকুন্ড-মীরশ্বরাই- বারৈয়ারহাট চট্টগ্রাম ভায়া বারৈয়ারহাটগামী সকল উত্তরা বাসে মাত্র ৩০ টাকার ভাড়া করোনা পরিস্হিতিকে পূঁজি করে ১৩০ টাকা করে জনপ্রতি ভাড়া নিয়ে নেয় বাস ড্রাইভার/কন্ট্রাক্টর/হেলফার।

পরিস্হিতির শিকার সীতাকুন্ড উপজেলা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের যুগ্ন আহ্বায়ক চাটার্ড একাউন্ট্যান্ট সীতাকুন্ড সৈয়দপুর নিবাসী রেজাউল করিম মুঠোফোনে বিষয়টি আমাদের বিশেষ প্রতিনিধি মুহাম্মদ ইউসুফ খাঁনকে নিশ্চিৎ করেন। রেজাউল করিম উত্তরা যোগে মাদারবাড়ী হয়ে শুকলালহাট নামক স্হানে নেমে যায়।

করোনা পরিস্হিতিতে গণপরিবহনে জনসাধারনের চলাচলে সরকার স্বাস্হ্যবিধি মেনে চলে কিছু নিয়ম মেনে চলবার জন্য গণপরিবহন মালিক সমিতি/ ড্রাইভার-হেলফার- জনসাধারণকে কতিপয় বিষয়ে বিধি আরোপ করে যেমনঃ সকলকে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, ডাবল সিট সিঙ্গেল ব্যবহারে ৬০% বর্ধিত ভাড়া যাত্রী সাধারণকে দিতে হবে যেহেতু বাসগুলো সিট অনুযায়ী অর্ধেক যাত্রী বহন করবে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করবে না এহেন অবস্হার প্রেক্ষাপটে।

আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি যে, বাস মালিক - ড্রাইভার -হেলফার- সরকারী কোন বিধি নিষেদের তোয়াক্কা না করে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করেও করোনা পূর্বকালীণ সময়ে যেখানে উত্তরার মত লোকাল বাসগুলোতে চট্টগ্রাম বারৈয়ারহাট- বাস ভাড়া নেয়া হ'ত মাত্র ৩০ টাকা সে লোকাল বাসে আজ বৃহস্পতিবার নেয়া হয় ১৩০ টাকা। পরিবহন সেক্টরে এমন নৈরাজ্য পরিস্হিতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের ভাবমূর্তি ধ্যূলিস্যাৎ করে দিচ্ছে বলে মনে করছেন ভুক্তভোগী রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, বাসে যাত্রী ড্রাইভার - হেলফার ত্রিমুখী ঝগড়ার পর যাত্রী সাধারণ পরিবহন সেক্টরের এমন নৈরাজ্যকর পরিস্হিতির জন্য সরকারকে দোষারোপ করছেন।রেজাউল করিম বলেন, সরকারকে পরিবহন সেক্টরের এমন নৈরাজ্যকর পরিস্হিতি মোকাবেলায় পুলিশ- হাইওয়ে পুলিশকে জনস্বার্থে বিষয়টির উপর গুরুত্বসহকারে দেখবার দায়িত্ব দেয়া উচিৎ নতুবা পরিবহন মালিক- কর্মচারীদের জুলুম অত্যাচারে জনগন অতিষ্ঠ হয়ে উঠলে পরিস্হিতি ভয়াবহ আকার ধারন করতে পারে।