চবি বিআইটিআইডিকে করোনা শনাক্তের মেশিন দিল,‘৩ ঘণ্টায় ৯৬ জনের শনাক্ত সম্ভব’

চবি বিআইটিআইডিকে করোনা শনাক্তের মেশিন দিল,‘৩ ঘণ্টায় ৯৬ জনের শনাক্ত সম্ভব’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।। 

প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্তের জন্য লজিস্টিক সাপোর্ট হিসাবে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজের (বিআইটিআইডি) কাছে রিয়েল-টাইম পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (আরটি-পিসিআর) মেশিন হস্তান্তর করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃপক্ষ।

গত মঙ্গলবার মেশিনটি বিআইটিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিআইটিআইডি চবির কাছে করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণের জন্য লজিস্টিক সাপোর্ট হিসেবে আরটি-পিসিআর মেশিন এবং জনবল সরবরাহের আবেদন করে। এ আবেদনের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই মেশিন প্রদানে সম্মতি দেয়। এছাড়া মেশিনটির প্রতিস্থাপন ও ব্যবহারবিধির প্রশিক্ষণ প্রদানে বিআইটিআইডি কর্মকর্তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদানেরও সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।

বিআইটিআইডিকে সহায়তা করতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনও (ইউজিসি) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ জানায়। মেশিন হস্তান্তর করার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান, চিফ মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মোহাম্মদ আবু তৈয়ব ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিআইটিআইডির সাথে কোভিড-১৯ শনাক্তকরণে সমন্বিতভাবে কাজ করতে একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটির সদস্যরা হলেন, জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামরুল হোসাইন, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, প্রফেসর ড. মো. আতিয়ার রহমান, প্রফেসর ড. এস এম রফিকুল ইসলাম, ড. লায়লা খালেদা আঁখি, ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া, ড. শ্রীকান্ত চৌধুরী, ড. মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, ড. এ এম মাসুদুল আজাদ চৌধুরী, ড. আদনান মান্নান, ড. এইচ এম আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক ও রামেন্দু পারিয়াল।

এ বিষয়ে চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, ‘দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের কাজে ব্যবহৃত মেশিন প্রদান করতে পেরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার গর্বিত। বিআইটিআইডির সাথে কোভিড-১৯ শনাক্তকরণে সমন্বিতভাবে কাজ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।’

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও শহীদ আব্দুর রব হলের প্রভোস্ট ড. রবিউল হাসান ভূইয়া তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে সর্বপ্রথম করোনা শনাক্তে কার্যকর আরটি-পিসিআর মেশিনের ধারণা দিয়ে পোস্ট দেন।

এসময় তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস নির্ণয়ের সঠিক পরীক্ষা করা হয় রিয়েল-টাইম পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশনের (আরটি-পিসিআর) মাধ্যমে। এ মেশিনে প্রতি ৩ ঘণ্টায় ৯৬ জনের সেম্পল টেস্ট করা যায়। বাংলাদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে আরটি-পিসিআর মেশিন আছে। তিনি বলেন, এখন শুধু সরকারের অনুমতি প্রয়োজন। সরকারের অনুমতি পেলে যথাযথ নিরাপত্তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্ব-স্ব ল্যাবেও করোনা নির্ণয় সম্ভব। এছাড়া চবির মতো অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়সহ সবাই এগিয়ে আসলে দ্রুত পরীক্ষা সম্ভব হবে বলে মনে করেন তিনি।’