দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী , বিমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পেয়ে অভিভূত যাত্রীরা

দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী , বিমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পেয়ে অভিভূত যাত্রীরা
দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী , বিমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পেয়ে অভিভূত যাত্রীরা

বিশেষ প্রতিবেদক।।

'ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট : সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল' শীর্ষক সম্মেলনে যোগদান শেষে দেশে ফেরার পথে ফ্লাইটে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত বাণিজ্যিক ফ্লাইটে ফিরছিলেন তিনি।

এ সময় ওই বিমানে তার সহযাত্রী ছিলেন প্রটোকলের বাইরে থাকা যাত্রীরাও। তারা প্রধানমন্ত্রীর এমন সাধারণ ভ্রমণ দেখে অভিভূত হন। শুধু তাই নয়, শেখ হাসিনা এ বিমানযাত্রার সময় ঘুরে ঘুরে যাত্রীদের সঙ্গে দেখা এবং কুশল বিনিময় করে মহানুভবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।

ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হওয়া তার অতি আন্তরিক আচরণে বিস্মিত ও আনন্দিত হয়ে ওঠেন যাত্রীরা। প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “ফ্লাইটে তাদের আসনের পাশে প্রধানমন্ত্রীকে পেয়ে অনেকেই বিস্মিত ও অবাক হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছবি তুলতে চাইলে তিনি অনেক যাত্রীর অনুরোধ মেনে নেন। তিনি শিশুদের সঙ্গেও খুব স্নেহমাখা কথা বলেন, কিছুক্ষণ মজার গল্প করেন এবং কয়েকটি শিশুকে কোলে তুলে নেন।' '

ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট : সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল শীর্ষক সম্মেলনে যোগদান শেষে শনিবার দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট শনিবার রাত ১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ফ্লাইটটি জেনেভা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটে যাত্রা করে। এর আগে ১৩ জুন চার দিনের সরকারি সফরে জেনেভায় যান প্রধানমন্ত্রী।

গত ১৪ জুন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ইউএনএইচসিআর প্রধান ফ্লিপো গ্র্যান্ডি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার বাসস্থানে সাক্ষাৎ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী প্যালাইস ডি নেশনস-এ সুইস কনফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অ্যালেইন বারসেটের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরপর সেখানে বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। বিকালে প্রধানমন্ত্রী প্যালাইস ডি নেশনস-এ 'ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট ২০২৩'-এর প্লেনারিতে ভাষণ দেন। শেখ হাসিনা মাল্টার প্রেসিডেন্ট ডক্টর জর্জ ভেলার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। এরপর আইএলও মহাপরিচালক গিলবার্ট এফ হাউংবোর সঙ্গে বৈঠক করেন। সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী আইএলওর সদর দফতরের ডিজি আয়োজিত উচ্চ পদের ব্যক্তিদের সঙ্গে নৈশভোজে যোগ দেন।

গত ১৫ জুন শেখ হাসিনা ডব্লিউইএফ কার্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ক্লাউস শোয়াবের সঙ্গে একটি বৈঠকের পর ‘এ টক অ্যাট দ্য ডব্লিউইএফ'-এ যোগ দেন। সেখানে তিনি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) আয়োজিত 'নিউ ইকোনমি অ্যান্ড সোসাইটি ইন স্মার্ট বাংলাদেশ' শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। সন্ধ্যায় ডব্লিউটিওর মহাপরিচালক ড. ওকোনজো-আইওয়ালা তার আবাসস্থলে সাক্ষাৎ করেন। সন্ধ্যায় একটি সামাজিক সংবর্ধনায়ও যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।

"দ্য ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট ২০২৩ : সকলের জন্য সামাজিক ন্যায় হলো সামাজিক ন্যায়বিচারকে সমর্থন করার জন্য বিস্তৃত, সমন্বিত এবং সুসঙ্গত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা মোকাবিলায় সোচ্চারদের একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈশ্বিক ফোরাম। এটি সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য একটি বৈশ্বিক জোট গঠনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা ও অবহিত করার একটি সুযোগ দিয়েছে, যা আন্তর্জাতিক শ্রম অফিসের ৩৪৭তম অধিবেশনে গভর্নিং বডি স্বাগত জানিয়েছে। সম্মেলনে বেশ কয়েকজন উচ্চ পর্যায়েন্স অতিথির পাশাপাশি মালিক ও শ্রমিকদের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।

দুদিনের শীর্ষ সম্মেলনে আরও টেকসই ও ন্যায়সঙ্গত বিশ্ব গড়তে সামাজিক ন্যায়বিচারের মূল ভূমিকা তুলে ধরে এবং সামাজিক ন্যায়বিচারকে এগিয়ে নেওয়া ও নীতির সুসংগততা নিশ্চিত করার জন্য বর্ধিত এবং আরও ভালোভাবে সমন্বিত যৌথ পদক্ষেপের কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়।

খালেদ / পোস্টকার্ড;