নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনের অসঙ্গতি দূরে করনে ৫ সুপারিশ

নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনের অসঙ্গতি দূরে করনে ৫ সুপারিশ
নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনের অসঙ্গতি দূরে করনে ৫ সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক ।। 

চসিক আইন বিভাগ চট্টগ্রাম নগরীর সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে সড়কের ফুটপাত, মোড় ও আইল্যান্ড সৌন্দর্যবর্ধনের কার্যাদেশে কিছুটা অসঙ্গতি পেয়েছে। এই অসঙ্গতি লাঘবে পাঁচটি সুপারিশও করেছে।

নগরীর ৪২টি সড়কের ফুটপাত, মোড় ও আইল্যান্ড সৌন্দর্যবর্ধন নিয়ে নগরজুড়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়। এর প্রেক্ষিতে নবনিযুক্ত প্রশাসক চসিকের আইন বিভাগকে সৌন্দর্যবর্ধন কাজের চুক্তিপত্রসমূহ তদন্ত করে প্রতিবেদন তৈরির নির্দেশ দেন । চসিকের আইন বিভাগ এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে প্রশাসকের কাছে জমা দেন। প্রতিবেদনে চুক্তির প্রক্রিয়া যথাযথ না হওয়া এবং চুক্তিসমূহ সাধারণ সভায় অনুমোদিত না হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। তবে এ প্রতিবেদনটি এখনো প্রকাশ করেনি।

জানা যায়, স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯ এর সপ্তম অধ্যায়ে ৫৯নং ধারায় ‘চুক্তি’ শিরোনামে উল্লেখ আছে ‘সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক বা উহার পক্ষে সম্পাদিত সকল চুক্তি কর্পোরেশনের সভায় অনুমোদিত হবার পর চূড়ান্ত করতে হবে।’ কিন্তু সৌন্দর্যবর্ধন কাজের জন্য সম্পাদিত চুক্তিসমূহ চসিকের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরামের সাধারণ সভায় অনুমোদন বা উপস্থাপন করা হয়নি বলে অভিযোগ আছে। চসিকের ভূমির মালিক ভূ-সম্পত্তি বিভাগকেও বিষয়টি জানানো হয়নি।

তদন্ত প্রতিবেদনে চুক্তির বিষয়ে করণীয় কিছু পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে, যে সব চুক্তির কারণে ফুটপাতে মানুষের স্বাভাবিক চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে কিংবা চসিকের স্বার্থ বিঘ্নিত হয়েছে কিংবা জনস্বার্থ ব্যাহত হয়েছে তা সরেজমিন পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ দিয়ে চুক্তিপত্র বাতিল করা, যে সব প্রতিষ্ঠান চসিকের অনুমোদিত নকশা বহির্ভূত স্থাপনা নির্মাণ করেছে তা প্রকৌশল বিভাগের মাধ্যমে সরেজমিন যাচাইপূর্বক চুক্তি বাতিল করা, সংশোধনযোগ্য বিষয়গুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা, চুক্তি অনুযায়ী কাজ না করলে নোটিশ দেয়া এবং চুক্তির মূল্য বাবদ তহবিল-কর-চার্জ পরিশোধের জন্য চিঠি দেয়ার জন্য বলা হয়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, চসিকের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তিগুলোতে নানা অসঙ্গতি আছে। এর মধ্যে আছে সড়ক-ফুটপাত দখল করে দোকান, গণশৌচাগার, যাত্রী ছাউনি এবং বাণিজ্যিক ফিশ একুরিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে। এমনকি কোন ধরনের সৌন্দর্যবর্ধন না করে শেভরনের সামনে নির্মাণ করা হয়েছে রেস্টুরেন্ট, ওষুধের দোকান। অপরদিকে, সৌন্দর্যবর্ধনের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান সম্পাদিত চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে চুক্তির বেশি স্থান দখল করার অভিযোগও আছে। এসব বর্ধিত অংশের কারণে পথচারীর যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে।

জানতে চাইলে চসিকের প্রশাসক আলহাজ খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনের কাজের সম্পাদিত চুক্তিগুলো নিয়ে আইন বিভাগকে একটি তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করতে বলা হয়েছে। আইন বিভাগের পরামর্শ এবং বাস্তবতাকে মূল্যায়ন করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আমরা চাই সব কাজ আইনসিদ্ধ হয়ে বাস্তবায়ন করা হোক। জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে, জন ও যান চলাচল বাধাগ্রস্থ করে সৌন্দর্যবর্ধন নগরবাসীর কোন কাজে আসবে না।