নামাজের আজানের বিধিবিধান

নামাজের আজানের বিধিবিধান

আজান দেওয়া পাক-পবিত্র অবস্থায় । (শামি : ১/৩৯২)
কেবলামুখী হয়ে আজান দেওয়া এবং উভয় পায়ের মাঝে চার আঙুল পরিমাণ ফাঁক রেখে কেবলামুখী করে রাখা। (আদ-দুররুল মুখতার : ১/৩৮৯)
উভয় কানে শাহাদাত আঙুলিদ্বয় রেখে আজান দেওয়া।
প্রথম দুই তাকবির এক শ^াসে একত্রে বলে থামা। অতঃপর দুই তাকবির এক শ^াসে একত্রে বলে থামা এবং উল্লেখিত তাকবিরসমূহের প্রত্যেকটির শেষে সাকিন করা। মাঝের বাক্যগুলোর মধ্যে হতে এক একটি বাক্য এক শ^াসে বলা এবং প্রত্যেক বাক্যের শেষে সাকিন করা ও থামা। শেষের দুই তাকবির এক শ^াসে একত্রে বলে থামা ও উভয় তাকবিরের শেষে সাকিন করা। সর্বশেষে লা-ইলাহা ইল্লাহ বলে আজান শেষ করা। উল্লেখ্য, এক এক বাক্য বলে থামার পর এ পরিমাণ বিরতি দেওয়া, যাতে পঠিত বাক্যটি একবার পড়া যায়, অর্থাৎ শ্রোতাগণ যেন উক্ত সময়ে আজানের জবাব দিতে পারে। (মায়ারিফুস সুনান : ২/১৯৫; শামি : ১/৩৮৬)
আজানের বিধিবিধান ডান দিকে চেহারা ফেরানোর পর ‘হাইয়া আলাস সালাহ’ বলা এবং বাম দিকে চেহারা ফেরানোর পর ‘হাইয়া আলাল ফালাহ’ বলা। কিন্তু বুক ও পা কেবলার দিক থেকে ফেরানো যাবে না। (আদ-দুররুল মুখতার : ১/৩৯৮)
আজানের জবাব দেওয়া। অর্থাৎ আজান শুনলে মুয়াজ্জিন যা বলবে, শ্রোতাগণ আস্তে আস্তে তাই বলবে। কিন্তু ‘হাইয়া আলাস সালাহ’ ও ‘হাইয় আলাল ফালাহ’-এর জবাবে ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা
ইল্লা বিল্লাহ’ বলবে। আর ফজরের আজানে ‘আসসালাতু খাইরুম মিনান নাওম’-এর জবাবে ‘সাদাকতা ওয়া বারারতা’ বলবে। (মুসলিম : ১/১৭)
আজানের শেষে দরুদ শরিফ পড়া। (মুসলিম : ১/৬৬)
অতঃপর এই দোয়া পড়াÑ ‘আল্লাহুম্মা রব্বা হাজিহিদ দাওয়াতিত তাম্মাহ, ওয়াস সালাতিল কা ইমাহ, আতি মুহাম্মাদানিল ওয়াসিলাতা ওয়াল ফাজিলাহ, ওয়াবআসহু মাকা-মাম মাহমুদানিল্লাজি ওয়াত্তাহ, ইন্নাকা লা তুখলিফুল মিয়াদ।’ অর্থ, হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ আহŸান এবং প্রতিষ্ঠিত নামাজের প্রভু! মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অসিলা তথা জান্নাতের একটি স্তর এবং ফজিলত তথা সব সৃষ্টির ওপর অতিরিক্ত মর্যাদা দান করুন। আর তাকে প্রশংসিত স্থানে পৌঁছে দিন, যার প্রতিশ্রæতি আপনি তাকে দিয়েছেন। নিশ্চয় আপনি প্রতিশ্রæতি ভঙ্গ করেন না। (বুখারি : ৬১৪)