পেঁয়াজের দাম লাগামহীম , নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় সরকার

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

পেঁয়াজের দাম লাগামহীম , নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় সরকার
পেঁয়াজের দাম লাগামহীম , নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় সরকার

পেঁয়াজের দাম এখনও লাগামছাড়া। রাজধানীতেই পণ্যটি বিক্রি হচ্ছে ৪-৫ প্রকার দামে। কোনো বাজারে ১০০ টাকা, কোথাও ১২০, আবার কোথাও ১৫০ টাকা কেজিও নেওয়া হচ্ছে।

তবে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। গতকাল থেকে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি করা টিসিবির ট্রাক সেলের সংখ্যা বাড়িয়ে ৩৫টি করা হয়েছে। যদিও দাম কমাতে সরকারের পদক্ষেপ এখনও তেমন একটি কাজে আসেনি।
 
অন্যদিকে চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে চীন ও মিসর থেকে আনা তিন জাহাজ পেঁয়াজ এবং মঙ্গলবার থেকে এসব পেঁয়াজ খালাস শুরু হয়েছে। তা ছাড়া বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে উচ্চ পর্যায়ের ১০ জন কর্মকর্তা ১০ জেলায় বাজার মনিটরিং শুরু করেছেন। জেলাগুলো হচ্ছে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, যশোর, দিনাজপুর, পাবনা, সাতক্ষীরা, সিরাজগঞ্জ ও শরীয়তপুর।

চট্টগ্রাম বন্দরে তিনটি জাহাজে করে আসা পেঁয়াজ খালাস হচ্ছে। এই মৌসুমে মিসর ও চীন থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের প্রথম চালান এটি। এমভি কালা পাগুরা, এমভি কোটা ওয়াজারে এবং এমভি জাকার্তা ব্রিজ নামে তিন জাহাজে ৪০ ফুটের ১৪টি কনটেইনারে ৩৫০ টন পেঁয়াজ রয়েছে। এর আমদানিকারক হচ্ছে খাতুনগঞ্জের জেনি এন্টারপ্রাইজ, হাফিজ করপোরেশন ও এনএস ইন্টারন্যাশনাল।

বন্দর সূত্র জানায়, আমদানিকৃত পেঁয়াজ খালাসের প্রক্রিয়া চলছে। আজ বুধবারের মধ্যেই এসব পেঁয়াজ বাজারে ঢুকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। পেঁয়াজের আরও চালান বন্দরের পথে রয়েছে।
 
খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা জানান, একটি সিন্ডিকেট পেঁয়াজের বাজারে কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে সোমবার একদিনেই কয়েক কোটি টাকা অতিরিক্ত হাতিয়ে নিয়েছে। জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের তৎপরতায় তারা আর বেশি তৎপর হয়ে উঠতে পারেনি। মিসর, চীন ছাড়াও তুরস্ক ও পাকিস্তান থেকেও দুই-তিন দিনের মধ্যে পেঁয়াজের চালান আসবে। মিয়ানমার থেকে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পেঁয়াজ আসছে। সোমবার পর্যন্ত এক সপ্তাহে ৬৫০ টন পেঁয়াজ এসেছে। ফলে বাজারে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসবে।

মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম ও মো. আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে চাকতাই-খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের আড়তে অভিযান চালিয়েছেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ভারত রফতানি বন্ধ ঘোষণার পর থেকে বাংলাদেশের বাজারে গত দুদিনের ব্যবধানে প্রায় দ্বিগুণ দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের বাজার খাতুনগঞ্জে ভারতীয় নাসিক জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৫-৯০ টাকায়। খুচরা বাজারে ১২০ টাকার নিচে পেঁয়াজ নেই। আর রাজধানী ঢাকায় আমদানিকৃত মোটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০-১১০ টাকায়। দেশি পেঁয়াজ বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১৫০ টাকায়।

অন্যদিকে ভারত রফতানি বন্ধ ঘোষণার পর থেকে বাংলাদেশের বাজারে গত দুদিনের ব্যবধানে প্রায় দ্বিগুণ দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। দেশের খুচরা বাজারে ১১০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। এ পরিপ্রেক্ষিতে আবারও আশ্বাসের বাণী শোনাচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
 
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ফলে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়। কিন্তু বাজারে পেঁয়াজের দাম কমার বিষয়ে কিছু বলেনি মন্ত্রণালয়।
সুত্রঃ সময়ের আলো