ফিলিপাইনের ‘তাল’ আগ্নেয়গিরি যেকোন মুহুর্তে বিস্ফোরিত হতে পারে

ফিলিপাইনের ‘তাল’ আগ্নেয়গিরি যেকোন মুহুর্তে বিস্ফোরিত হতে পারে
যেকোন মুহুর্তে বিস্ফোরিত হতে পারে ফিলিপাইনের ‘তাল’ আগ্নেয়গিরি।
 

যেকোন মুহুর্তে বিস্ফোরিত হতে পারে ফিলিপাইনের ‘তাল’ আগ্নেয়গিরি। রাজধানী ম্যানিলাসহ আশপাশের এলাকায় জারি রয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা।

ইতোমধ্যেই প্রাণহানি এড়াতে এলাকা ছাড়ছেন বাসিন্দারা, কমপক্ষে ১৫ হাজার মানুষ ঠাই নিয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রে।

জাতিসংঘ বলছে, ঝুঁকিপূর্ণ ১৪ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে সাড়ে ৪ লাখের বেশি মানুষের বসবাস। ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলা এবং উদ্ধার কাজ চালাতে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী।

এরইমাঝে, আগ্নেয় ছাই আর ধোঁয়ায় ধূসরবর্ণ ধারণ করেছে গোটা অঞ্চল। তালের নিকটবর্তী এলাকার ঘরবাড়ি, রাস্তা ও ক্ষেত আগ্নেয়গিরির ঘন ছাইয়ে ঢাকা পড়েছে বলে বিবিসির ফিলিপিন্স প্রতিনিধি জানিয়েছেন।

আগ্নেয়গিরির ছাইয়ের কারণে রোববার ম্যানিলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সব ফ্লাইট চলাচল স্থগিত করে। পরে সোমবার দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ‘আংশিক বিমান চালাচল’ শুরু করা হচ্ছে বলে জানায়।

তাল আগ্নেয়গিরি সম্পর্কে কিছু তথ্য: ২৩০ বর্গকিলোমিটারের লেক তাল-এর মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত সক্রিয় আগ্নেয়গিরি তাল।  তাল একটি জটিল আগ্নেয়গিরি। এর অর্থ হলো অন্য আগ্নেয়গিরির আকৃতি হয় কোণের মতো। অর্থাৎ তার একটি জ্বালামুখ থাকে। কিন্তু তাল-এর তা নয়। এর একাধিক জ্বালামুখ রয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা পরিবর্তিত হয়। একে আগ্নেয়গিরির মধ্যে আগ্নেয়গিরি হিসেবে অভিহিত করা হয়। বলা হয়, অত্যন্ত বিপজ্জনক এটি। প্রায় ৫০০ বছরের মধ্যে কমপক্ষে ৩০ বার বিভিন্নভাবে তাল থেকে অগ্নুৎপাত হয়েছে। সম্প্রতি অগ্নুৎপাত হয়েছে ১৯৭৭ সালে। ১৯১১ সালের অগ্নুৎপাতে নিহত হয়েছেন প্রায় ১৫০০ মানুষ। ১৯৭৪ সালের উদগীরণ স্থায় হয় বেশ কয়েক মাস।