বই মানুষের সর্বোত্তম বন্ধু : বই মেলার উদ্বোধনীতে শংকর রঞ্জন সাহা

বই মানুষের সর্বোত্তম বন্ধু : বই মেলার উদ্বোধনীতে শংকর রঞ্জন সাহা

পোস্টকার্ড ডেস্ক।।
বই মানুষের সর্বোত্তম বন্ধু। আলোকিত মানুষ হতে হলে বই পড়ার কোন বিকল্প নেই। বই পড়ে মানুষ নিজের অবস্থানকে মজবুত করতে পারে। বই পড়া ছাড়া কোন বিজ্ঞানী হয়েছে এমন নজির নেই। বই-ই মানুষের মান মর্যাদা বৃদ্ধি করতে পারে। জ্ঞান অর্জন করার মানুষের যে প্রয়াস তাতে বেশি বেশি করে বই পড়তে হবে। সোমবার বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম নগরীর এম.এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম মাঠে আয়োজিত ৬দিন ব্যাপী চট্টগ্রাম বিভাগীয় বই মেলা-২০১৯ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা (অতিরিক্ত সচিব) ।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র বই মেলার আয়োজন করে।

প্রধান অতিথি বলেন, জাতির জনকের স্বপ্ন ছিল সোনার দেশ গড়ার। সোনার দেশ গড়তে হলে সোনার মানুষ প্রয়োজন। বই পড়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের ইতিহাস আমাদের নতুন প্রজন্ম যখন জানবে তখন তারা সোনার মানুষ হয়ে উঠবে। যুব সমাজকে মাদক , জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস থেকে দূরে রাখতে বই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। জেলা, বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ে বই মেলার উদ্দেশ্যে হচ্ছে জাতির শিক্ষার হার ও জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করা। বই পড়তে হবে এবং বই পড়ার জন্য মানুষের মাঝে আগ্রহ সৃষ্টি করাতে হবে। বইয়ের আলো সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াছ হোসেনের সভাপতিত্বে ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাবরিনা আফরিন মুস্তফার সঞ্চালনায় বই মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব অসীম কুমার দে, জেলা পুলিশ সুপার নুরেআলম মিনা, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর, একুশে পদক প্রাপ্ত বিশিষ্ট সাহিত্যিক ড. হরি শংকর জলদাস, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মো. মোজাফর আহম্মদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মো. সাহাŸউদ্দিন, চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সভাপতি মহিউদ্দিন শাহ আলম নিপু ও জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক জামাল উদ্দিন। অনুষ্ঠানের শুরুতে বেলুন উড়িয়ে ৬ দিন ব্যাপী বিভাগীয় বই মেলার উদ্বোধন ও বই মেলার স্টল পরিদর্শন করেন প্রধান অতিথি অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি, পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির নেতৃবৃন্দ, বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের এডিসি, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন।

এবারের মেলায় জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের ৪৪ টি, সরকারি-বেসরকারি ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের আরো ৩০টিসহ মোট ৭৪টি স্টল বসে। মেলা প্রতিদিন বিকাল ৩ টায় শুরু হয়ে রাত ৯ টা পর্যন্ত চলবে। এছাড়া প্রতিদিন সন্ধ্যায় থাকছে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মেলা ও অনুষ্ঠান সকলের জন্য উন্মক্ত ।