মোদী-ট্রাম্প সাক্ষাৎ আজ , কথা হতে পারে কাশ্মীর নিয়ে

মোদী-ট্রাম্পের একান্ত বৈঠকে কাশ্মীর প্রসঙ্গে আলোচনা করা হতে পারে। এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন আধিকারিকরা।

মোদী-ট্রাম্প সাক্ষাৎ আজ , কথা হতে পারে কাশ্মীর নিয়ে
মোদী-ট্রাম্প সাক্ষাৎ আজ , কথা হতে পারে কাশ্মীর নিয়ে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।। দু’দুবার তিনি কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতার বার্তা দিয়েছেন। ৩৭০ ধারা বাতিলের পর কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে। এবার ৩৭০ ধারা বাতিলের পর এই প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা হতে চলেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। জি ৭ সামিটের ফাঁকে আজ দুই রাষ্ট্রনেতা আলোচনায় বসতে পারেন। মোদী-ট্রাম্পের একান্ত বৈঠকে কাশ্মীর প্রসঙ্গে আলোচনা করা হতে পারে। এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন আধিকারিকরা।

এ প্রসঙ্গে, আমেরিকার আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ৩৭০ ধারা বাতিল করার সিদ্ধান্তের বিষয়টি ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু এর জেরে ভারত-পাক সম্পর্ক যে জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে, তা নিয়ে কথা হতে পারে। পাশাপাশি এই সিদ্ধান্তের পর পরিস্থিতি অনুকূলে রাখতে মোদী কী পদক্ষেপ করছেন, কীভাবে পরিস্থিতি সামলাচ্ছেন, সে ব্যাপারে জানতে চাইতে পারেন ট্রাম্প। উল্লেখ্য, ৩৭০ ধারা বাতিলের বিরোধিতা জানিয়ে আসরে নেমেছে পাকিস্তান। এ নিয়ে রাষ্ট্রসংঘেও দরবার করেছে ইমরান সরকার। এ ইস্যু নিয়ে আগেই মোদী ও ইমরান খানের সঙ্গে আলাদা করে ফোনে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ক’দিন আগে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে ফের মধ্যস্থতা করার বার্তা দেন ট্রাম্প। এই প্রেক্ষিতে আজ জি ৭ সম্মেলনের ফাঁকে মোদী-ট্রাম্পের বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহলের একাংশ।

মধ্যস্থতা প্রসঙ্গে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা হবে…ফ্রান্সে ওঁর সঙ্গে দেখা হবে। আমার মনে হয়, আমরা ভারত-পাক পরিস্থিতি সমাধান করার চেষ্টা করছি’’। এরপরই ট্রাম্প বলেন, ‘‘মধ্যস্থতা করার জন্য নিজেরে সেরাটা দিয়ে কাজ করব। দেখা যাক কতটা পারি। দুই দেশের (ভারত-পাকিস্তান) সঙ্গেই দারুণ সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু ওরা (ভারত-পাক) এই মুহূর্তে বন্ধু নয়’’। অন্যদিকে কাশ্মীর পরিস্থিতিকে ‘‘খুবই জটিল পরিস্থিতি’’ বলে বর্ণনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই কাশ্মীরকে ঘিরে ভারত-পাক সম্পর্কে থিতু আনতে ট্রাম্পকে মধ্যস্থতাকারী হতে অনুরোধ করেছিলেন মোদী, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন দাবি ঘিরে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। ট্রাম্পের এহেন দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছিল দিল্লি।