মানুষকে ধোঁকার হাত থেকে বাঁচাবে ই-পাসপোর্ট : প্রধানমন্ত্রী

মানুষকে ধোঁকার হাত থেকে বাঁচাবে ই-পাসপোর্ট : প্রধানমন্ত্রী
মানুষকে ধোঁকার হাত থেকে বাঁচাবে ই-পাসপোর্ট : প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট।।

বংবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অতীতে পাসপোর্ট নিয়ে একটা সমস্যা ছিল । একসময় ‘গলাকাটা’ পাসপোর্টও প্রচলিত ছিল। আধুনিক ই-পাসপোর্টের কারণে সেটা আর হবে না। মানুষও ধোঁকায় পড়তে হবে না।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ই-পাসপোর্ট বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালে ২৪ নভেম্বর আমরা বাংলাদেশ জনগণের জন্য মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) শুরু করি। ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে আগামী ১০ বছরের জন্য আমরা ই-পাসপোর্ট প্রদানের পদক্ষেপ নিয়েছি। এজন্য আমি ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই এই কাজ সম্ভব হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা যে প্রকল্প ই-পাসপোর্টের জন্য গ্রহণ করেছি তাতে মনে করি, বাংলাদেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে। কারণ আমরা যে পাসপোর্ট দিতে যাচ্ছি, সেটি বায়োমেট্রিক। এতে এম্বেডেড ইলেকট্রনিক মাইক্রো প্রসেসর চিপ থাকবে। সেখানে যে পাসপোর্ট গ্রহণ করবেন তার বায়োগ্রাফি ও বায়োমেট্রিক অর্থাৎ তার ছবি, ফিঙ্গার প্রিন্ট এবং চোখের কর্নিয়া থাকবে। কাজেই আর মানুষ ধোঁকায় পড়বে না।

বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনার উদ্বোধন কর‌লেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে

বুধবার (২২ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কে‌ন্দ্রে এ কার্যক্রমের উ‌দ্বোধন করেন তিনি। এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রধানমন্ত্রী‌কে ই-পাস‌পোর্ট হস্তান্তর ক‌রেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপ‌তিত্বে অনুষ্ঠা‌নে আরও বক্তব্য রা‌খেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণাল‌য়ের সুরক্ষা সেবা বিভা‌গের স‌চিব মোহাম্মদ শহীদুজ্জামান, জার্মান দূতাবাস ঢাকার রাষ্ট্রদূত পিটার। এছাড়া, ই-পাস‌পো‌র্টের প্রকল্প প‌রিচালক বি‌গ্রে‌ডিয়ার জেনা‌রেল সাইদুর রহমান খান অনুষ্ঠানে এক‌টি তথ্য‌চিত্র উপস্থাপন ক‌রেন। ই‌মি‌গ্রেশন ও পাস‌পোর্ট অ‌ধিদফতরের মহাপ‌রিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহ‌মেদ স্বাগত বক্তব্য রা‌খেন।

‌‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা করা আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান অঙ্গীকার। সে লক্ষ্য নি‌য়েই এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট চালুর ম‌ধ্যে দি‌য়ে। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বে ১১৯তম দেশ হিসেবে ই-পাসপোর্ট চালু করল বাংলাদেশ।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সাল থেকে দেশে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বিতরণ শুরু হয়। ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-পাসপোর্ট প্রদানের ঘোষণা দেন। এজন্য জার্মানির প্রতিষ্ঠান ভেরিডসের সঙ্গে চুক্তি করে বহির্গমন ও পাসপোর্ট অধিদফতর। চুক্তি অনুযায়ী তিন কোটি ই-পাসপোর্ট সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি। যার মধ্যে ২০ লাখ জার্মানিতে তৈরি এবং বাকি দুই কোটি ৮০ লাখ পাসপোর্ট বই মুদ্রণের জন্য কাঁচামাল সরবরাহ করবে। ই-পাসপোর্ট বই ছাপার যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।ই-পাসপোর্ট মানুষকে ধোঁকার হাত থেকে বাঁচাবে: প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অতীতে পাসপোর্ট নিয়ে একটা সমস্যা ছিল । একসময় ‘গলাকাটা’ পাসপোর্টও প্রচলিত ছিল। আধুনিক ই-পাসপোর্টের কারণে সেটা আর হবে না। মানুষও ধোঁকায় পড়তে হবে না।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ই-পাসপোর্ট বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালে ২৪ নভেম্বর আমরা বাংলাদেশ জনগণের জন্য মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) শুরু করি। ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে আগামী ১০ বছরের জন্য আমরা ই-পাসপোর্ট প্রদানের পদক্ষেপ নিয়েছি। এজন্য আমি ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই এই কাজ সম্ভব হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা যে প্রকল্প ই-পাসপোর্টের জন্য গ্রহণ করেছি তাতে মনে করি, বাংলাদেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে। কারণ আমরা যে পাসপোর্ট দিতে যাচ্ছি, সেটি বায়োমেট্রিক। এতে এম্বেডেড ইলেকট্রনিক মাইক্রো প্রসেসর চিপ থাকবে। সেখানে যে পাসপোর্ট গ্রহণ করবেন তার বায়োগ্রাফি ও বায়োমেট্রিক অর্থাৎ তার ছবি, ফিঙ্গার প্রিন্ট এবং চোখের কর্নিয়া থাকবে। কাজেই আর মানুষ ধোঁকায় পড়বে না।

বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনার উদ্বোধন কর‌লেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে

বুধবার (২২ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কে‌ন্দ্রে এ কার্যক্রমের উ‌দ্বোধন করেন তিনি। এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রধানমন্ত্রী‌কে ই-পাস‌পোর্ট হস্তান্তর ক‌রেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপ‌তিত্বে অনুষ্ঠা‌নে আরও বক্তব্য রা‌খেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণাল‌য়ের সুরক্ষা সেবা বিভা‌গের স‌চিব মোহাম্মদ শহীদুজ্জামান, জার্মান দূতাবাস ঢাকার রাষ্ট্রদূত পিটার। এছাড়া, ই-পাস‌পো‌র্টের প্রকল্প প‌রিচালক বি‌গ্রে‌ডিয়ার জেনা‌রেল সাইদুর রহমান খান অনুষ্ঠানে এক‌টি তথ্য‌চিত্র উপস্থাপন ক‌রেন। ই‌মি‌গ্রেশন ও পাস‌পোর্ট অ‌ধিদফতরের মহাপ‌রিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহ‌মেদ স্বাগত বক্তব্য রা‌খেন।

‌‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা করা আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান অঙ্গীকার। সে লক্ষ্য নি‌য়েই এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট চালুর ম‌ধ্যে দি‌য়ে। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বে ১১৯তম দেশ হিসেবে ই-পাসপোর্ট চালু করল বাংলাদেশ।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সাল থেকে দেশে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বিতরণ শুরু হয়। ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-পাসপোর্ট প্রদানের ঘোষণা দেন। এজন্য জার্মানির প্রতিষ্ঠান ভেরিডসের সঙ্গে চুক্তি করে বহির্গমন ও পাসপোর্ট অধিদফতর। চুক্তি অনুযায়ী তিন কোটি ই-পাসপোর্ট সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি। যার মধ্যে ২০ লাখ জার্মানিতে তৈরি এবং বাকি দুই কোটি ৮০ লাখ পাসপোর্ট বই মুদ্রণের জন্য কাঁচামাল সরবরাহ করবে। ই-পাসপোর্ট বই ছাপার যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।