ঘূর্ণিঝড়ে সীতাকুণ্ডে ভেসে আসা আরও ৬টি মহিষ উদ্ধার

ঘূর্ণিঝড়ে  সীতাকুণ্ডে ভেসে আসা আরও ৬টি মহিষ উদ্ধার
ঘূর্ণিঝড়ে সীতাকুণ্ডে ভেসে আসা আরও ৬টি মহিষ উদ্ধার

পোস্টকার্ড নিউজ ।।

সীতাকুণ্ডে ঘূর্ণিঝড়ে ভেসে আসা আরও ৬টি মহিষ উদ্ধার করেছে উপজেলা প্রশাসন। এর মধ্যে ৩টি সোনাইছড়ি ইউনিয়ন, দুটি ভাটিয়ারী ও একটি সলিমপুর ইউনিয়ন এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে এসব মহিষ উদ্ধার করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহাদাত হোসেন।
এর আগে বুবধার (২ নভেম্বর) রাতে সোনাইছড়িতে দুটি মহিষ লুকিয়ে রাখাও অভিযান চালিয়ে সেগুলো উদ্ধার করে দুই ব্যক্তিকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেন তিনি।
জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় চিত্রাংয়ের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসে ভাসানচর ও উড়িরচর থেকে সীতাকুণ্ডে বেশ কিছু মহিষ ভেসে আসে। বিভিন্ন সময় এসব মহিষ উদ্ধার করে সর্বমোট ১৯১টি মহিষ প্রকৃত মালিকদের কাছে ফেরত দেয়া হয়। এরপরও কিছু মহিষ স্থানীয়রা লুকিয়ে রাখে। এসব মহিষ উদ্ধারে কঠোর অবস্থান নেন ইউএনও মো. শাহাদাত হোসেন। বুধবার রাতে সোনাইছড়ি সাগর উপকূলে লুকিয়ে রাখা দুটি মহিষের সন্ধান পেয়ে রাত ১১টার দিকে তিনি সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযানকালে বন্ধ থাকা মাবিয়া শিপইয়ার্ডের ভেতর থেকে একটি মহিষ উদ্ধার করে সেটি লুকিয়ে রাখায় ইয়ার্ডের কেয়ার টেকার আবু সালেককে ৩০ হাজার টাকা এবং শাহাজাহান শিকদার নামক অপর এক ব্যক্তিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং মহিষ উদ্ধার করেন।
এদিকে, ভ্রাম্যমাণ আদালতে মোটা অংকের জরিমানার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার উপজেলার বিভিন্ন স্থানে চুরি করে রাখা মহিষগুলো এনে ছেড়ে দিতে থাকে দুর্বৃত্তরা। এভাবে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত রাত ৯টা পর্যন্ত সময়ে উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে দুটি, সোনাইছড়ি ইউনিয়ন থেকে একটি ও সলিমপুর থেকে একটি মহিষ পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
ভাটিয়ারীর ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, আজকে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আরও দুটি মহিষ আমরা পরিত্যক্ত অবস্থায় পেয়েছি। এগুলোও ইউএনও’র কাছে তুলে দেব। তিনি প্রকৃত মালিকদের হাতে তুলে দেবেন।
এছাড়া মাদামবিবিরহাটে আরও দুটি মহিষের তথ্য পেয়েছেন জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, তথ্য সঠিক কিনা যাচাই করা হচ্ছে।
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহাদাত হোসেন জানান, মহিষ দুটি লুকিয়ে রাখায় বুধবার রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দুইজনকে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছি। এরপর বৃহস্পতিবার উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পরিত্যক্ত অবস্থায় মহিষ পাওয়া যাচ্ছে। রাত পর্যন্ত আরো চারটি মহিষ উদ্ধার করেছি আমরা। সব মিলিয়ে মোট ৬টি মহিষ আমাদের হাতে এসেছে। এগুলো মালিকদের ফিরিয়ে দেবার প্রক্রিয়া চলছে। আরো মহিষ কারো কাছে আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

খালেদ / পোস্টকার্ড