সীতাকুন্ড থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে নিহত তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় অপর ‘ধর্ষক’ আটক

সীতাকুন্ড থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে নিহত তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় অপর ‘ধর্ষক’ আটক

কক্সবাজার প্রতিনিধি।।

সীতাকুন্ড ফুফু'র বাড়ী থেকে কক্সবাজার নিজ বাড়ী যাওয়ার পথে নিহত চম্পাকে ধর্ষণের পর চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেয় সিএনজি চালকরা।

কক্সবাজারের খরুলিয়ার তরুণী চম্পা বেগমকে ধর্ষণ শেষে চলন্ত সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে ফেলে খুনের ঘটনায় জড়িত অপর সিএনজি চালক সাজ্জাদ হোসেনকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ।

আজ সোমবার (১১ মে) স্থানীয় জনতার সহায়তায় পেকুয়া থানার পুলিশ তাকে আটকের পর বিকেলে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত সাজ্জাদ হোসেন পেকুয়া ‍উপজেলা সদর ইউনিয়নের শেখের কিল্লা ঘোনা এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে।

এর আগে এ ঘটনায় জড়িত আরেক অটোচালক জয়নাল আবেদীনকে (১৮) ঘটনার ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই র‌্যাব অভিযান চালিয়ে আটক করে। সে একই ইউনিয়নের মেহেরনামা নন্দীরপাড়ার মোহাম্মদ আলীর ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, চম্পাকে ধর্ষণ পরবর্তী হত্যার ঘটনায় সাজ্জাদ জড়িত থাকার বিষয়টি তারা জানতে পারেন। এ ঘটনায় র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার সিএনজি অটোচালক জয়নাল আবেদীন তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সাজ্জাদ নামের অপর এক টেক্সিচালক জড়িত বলে জানায়। র‌্যাবও বেশ কয়েকবার তার বাড়িতে অভিযান চালায়। কিন্তু তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে আজ সোমবার সকালে র‌্যাব সাজ্জাদের চাচাতো ভাই প্রতিবন্ধী নেজাম উদ্দিন ও আবদুর রহিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়। তারপর থেকে পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী সাজ্জাদকে খুঁজতে থাকে। একপর্যায়ে সকাল ১০টার দিকে শেখের কিল্লা ঘোনার একটি বাড়ি থেকে সাজ্জাদকে আটক করে পেকুয়া থানা পুলিশেকে সোপর্দ করে।

পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, সকালে স্থানীয়রা সাজ্জাদকে ধরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে আসে। আটককৃতকে চকরিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ৬ মে বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় চকরিয়ার কোনাখালী ইউনিয়ন এলাকার বিশ্ব রোডে চলন্ত গাড়িতে হত্যা করে রাস্তায় লাশ ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠে। তার ফুফী ও ফুফাতো ভাই এ হত্যার জন্য দায়ী করে তার বাবা। কিন্তু আসল ঘটনা উদঘাটন করে র‌্যাব-১৫।