রহস্যময় ভাইরাস আতঙ্কে চীন ,সতর্কতা বাংলাদেশের বিমানবন্দরে

রহস্যময় ভাইরাস আতঙ্কে চীন ,সতর্কতা বাংলাদেশের বিমানবন্দরে
রহস্যময় ভাইরাস আতঙ্কে চীন ,সতর্কতা বাংলাদেশের বিমানবন্দরে

পোস্টকার্ড ডেস্ক।।

রহস্যময় এক নতুন ভাইরাস চীনে ছড়িয়ে পড়ার পর বাংলাদেশের হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। চীনের কর্তৃপক্ষ গত দুইদিনে ১৩৯ জন এই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে।

বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট বা আইইডিসিআর বলছে, তারা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করছে, কারণ চীন থেকে আসা সব বিমান এই বিমানবন্দর দিয়েই ওঠানামা করে। এছাড়া অন্যান্য বন্দরেও চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

বাংলাদেশে এখনো করোনা ভাইরাসে কারো আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে আইইডিসিআর-এর পরিচালক ডা. সেবরিনা বলেন, স্বাস্থ্য-কর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। বিমান বন্দরে স্থাপিত হেলথ ডেস্কে এসব কর্মীদের পাঠানো হচ্ছে। যেসব ফ্লাইট চীন থেকে আসছে সেসব ফ্লাইটের যাত্রীদের স্ক্যানিং করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘যারা শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা- জ্বর,কাশি,গলা ব্যথা এসব নিয়ে আসছেন তাদের চেক করা হচ্ছে।’

আইইডিসিআর চারটি হটলাইনও খুলেছে। উল্লেখিত লক্ষণগুলো কারো মধ্যে দেখা গেলে এসব হটলাইনে ফোন করে জানানোর জন্য বলেছেন তারা।

নম্বরগুলো হচ্ছে:

০১৯৩৭১১০০১১
০১৯৩৭০০০০১১
০১৯২৭৭১১৭৮৪
০১৯২৭৭১১৭৮৫

আইইডিসিআর বলছে, কারো শরীরে এর কোন লক্ষণ দেখা গেলে তারা নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে দেখবেন।

এছাড়া বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন, এয়ারলাইন্সগুলো এবং এভিয়েশনে কাজ করা সবাইকে সচেতনও করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।

বিমানবন্দরে যে এলইডি মনিটর রয়েছে সেখানে রোগের লক্ষণগুলো জানানো হচ্ছে এবং এবং কারো যদি এই লক্ষণগুলো থাকে তার হেলথ ডেস্কে যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে।

গত ডিসেম্বরে ইউহান শহরে প্রথম যে সংক্রমণের ঘটনা ঘটে, স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ তাকে করোনা ভাইরাস বলে শনাক্ত করেছিল।

গত সপ্তাহেই সিঙ্গাপুর, হংকং, সান ফ্রান্সিসকো, লস এঞ্জেলস এবং নিউইয়র্কে চীন থেকে আগত ফ্লাইটগুলোর যাত্রীদের স্ক্রিনিং করা হচ্ছিল।

এবার বাংলাদেশেও শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও স্ক্রিনিং শুরু করার কথা জানানো হল কর্তৃপক্ষ থেকে।

ইউহানের পর চীনের নতুন নতুন শহরেও করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হচ্ছে। আক্রান্তদের মধ্যে আছে বেইজিং এবং শেনঝেন শহরের বাসিন্দারাও। এদিকে, থাইল্যান্ড এবং জাপানের পর দক্ষিণ কোরিয়া সোমবার (২০ জানুয়ারি) জানিয়েছে সেখানেও এই একই ভাইরাসে সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে।

এখন পর্যন্ত এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দুইশো ছাড়িয়ে গেছে। মারা গেছেন তিন জন।

সূত্র: বিবিসি বাংলা