শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালামকে প্রত্যাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার  আবুল কালামকে প্রত্যাহার
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালামকে প্রত্যাহার
জন প্রশাসন মন্ত্রণালয় ককক্সবাজারে অবস্থানরত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মো. আবুল কালামকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে । তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন যুগ্মসচিব মাহবুব আলম তালুকদার।
 
জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবদুল লতিফ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে আবুল কালামকে প্রত্যাহার করা হয়। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করে আসা আবুল কালামকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করার আদেশ দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।


আলাদা আদেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মাহবুব আলম তালুকদারকে ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কক্সবাজারে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবসান কমিশনার পদে যোগ দিতে বলা হয়েছে। মাহবুব আলম তালুকদারকে এর আগে বরিশালের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই আদেশ বাতিল করে তাকে সোমবার কক্সবাজারে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হল।

ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের একাধিক সূত্র বলছে, রোহিঙ্গাদের মহাসমাবেশের অনুমতি দেওয়ার কারণে ত্রাণ প্রত্যাবাসন কমিশনারসহ সাত জনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা সংকটের দুই বছর উপলক্ষে মহাসমাবেশের ডাক দেয় রোহিঙ্গা নেতা মুহিব উল্লাহ। ঘোষণা অনুযায়ী প্রায় পাঁচ লাখ রোহিঙ্গার সমাগম ঘটে ওই সমাবেশে।

অনুমতি ছাড়াই রোহিঙ্গারা মহাসমাবেশ করেছিল বলে অভিযোগ করে সরকার। কিন্তু রোহিঙ্গা নেতারা দাবি করেছিলেন, তারা লিখিত আবেদনের মাধ্যমে সিআইসি থেকে অনুমতি নিয়েছিলেন।

এর আগে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিতর্কিত কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪১টি এনজিওকে সব ধরনের কার্যক্রম থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

গত ১৫ নভেম্বর ও চলতি বছরের ২২ আগস্ট দু দফা ব্যর্থ হয় রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া। কারণ হিসাবে, বাস্তুচ্যুত মানুষগুলোর মিয়ানমারের প্রতি অনাস্থা এবং প্রত্যাবাসনের আলোচনায় তাদের না রাখার কথা বলা হচ্ছে। আর ফেরত না যেতে এনজিগেুলোর উস্কানি রয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে ।